নয়াদিল্লি: আগামিকাল, ১৫ অগাস্ট। ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। গোটা দেশ জুড়ে পালিত হবে এই বিশেষ দিনটি। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সকলেই দেশের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করবেন।


২০২১ সালের স্বাধীনতা দিবসে  জম্মু ও কাশ্মীরের ২৩ হাজার স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই সঙ্গে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে শতখানেক সরকারি ভবনেও। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে আগামিকাল জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া উপত্যকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকেও স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলা হয়েছে।


করোনা অতিমারীর কারণে এমনিতে আপাতত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিগত ১০ দিন  ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতা দিবস পালনের তোড়জোড় করছে। বিভিন্ন বিদ্য়ালয়ে পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে 'ফ্ল্যাগ কোড'-এর উপর সরকার এক বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। ভারতের জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ আইন ও নিয়মাবলী জারি করা হয়েছে নির্দেশিকায়।


'প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক CEO, প্রিন্সিপ্যাল বা প্রধান শিক্ষকদের পতাকা উত্তোলনের নিয়মাবলী জানিয়ে দিতে হবে। অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করতে হবে,' সরকারি নির্দেশিকায় এমনটাই উল্লেখ করা হয়।


করোনা আবহেও স্বাধীনতা দিবস পালনের ক্ষেত্রে জন সমাবেশের সর্বোচ্চ সীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এদিনের সমাবেশে ২৫ জন পর্যন্ত একত্রিত হতে পারবে বলে সরকার জানিয়েছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর সেখানে অবস্থা স্বাভাবিক বোঝাতেই উপত্যকা জুড়ে এই বিশাল পতাকা উত্তোলনের আয়োজন।


এর আগে, বিভিন্ন সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর কাশ্মীরের যাত্রীবাহী যানবাহনগুলিতে জাতীয় পতাকা বহন বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু সেই ধারা বেশিদিন চলেনি, কারণ এভাবে জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে প্রশ্ন ওঠে।


বিগত এক বছর ধরে সেনাবাহিনী উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে ভারতীয় পতাকা স্থাপন করে চলেছে।