চেন্নাই: নানা চিকিৎসা পদ্ধতি যখন ব্যবহার হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ যখন কোনও পদ্ধতিতেই আবিষ্কৃত হয়নি, তখন প্রাচীন সিদ্ধা চিকিৎসা প্রয়োগ করে দেখা যাক। এ ভাবেই এপ্রিল থেকে তামিলনাড়ুতে সিদ্ধা চিকিৎসার প্রয়োগ শুরু করা হয় কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে। আর দাবি করা হচ্ছে, তাতে ফল মিলছে মারাত্মক। রাজ্যের ১১টি এক্সক্লুসিভ সিদ্ধা কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টারে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ৭২৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষ। আবার চা থেকে তৈরি কাবুসারা-র মাধ্যমে স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি ফিরে পেয়েছেন কোভিড রোগীরা।
রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে চমৎকার ফল মিলছে। দীর্ঘদিনের প্রচলিত এই ঔষধি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে এগারোটি কেন্দ্রে যার মধ্যে দুটি কেন্দ্র চেন্নাই শহরেই অবস্থিত। সিদ্ধা ঔষধির চিকিৎসা মিলছে চেন্নাইয়ের জওহর বিদ্যালয় এবং ডঃ আম্বেদকর গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে। দুটি সেন্টারে বর্তমানে ৪৩৪ জন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। চেন্নাই ছাড়া সিদ্ধা সেন্টার রয়েছে থেনি, তিরুভান্নামালাই, থাচুর, ভেলোর, থিরুপাথুর, রানিপেট, তেনকাশি, ভিল্লুপুরম এবং কোয়েম্বত্তুরে। সালেম এবং পুদুকোট্টাই অঞ্চলেও সম্প্রতি দুটি সেন্টার খোলা হয়েছে।

আবার চা থেকে প্রস্তুত কাবাসুরা-ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ভাইরাল ইনফেকশন রোধ করতে, স্বাদ-গন্ধ ফেরাতে, ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী নিজে গত এপ্রিলে আয়ুর্বেদ, যোগ, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাবিদ্যাকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করার কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে এখনও অবধি সিদ্ধা চিকিৎসা পদ্ধতির সাফল্য আলাদা করে চোখে পড়ছে। শেষ পাওয়া খবর অবধি তামিলনাড়ুতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯০১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৩৮ জন। অর্থাৎ সুস্থতার হার অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি।