নয়া দিল্লি: নেপালে (Nepal) ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। আজও নেপালজুড়ে আফটার শক। শুক্রবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৭। শুধু তাই নয় শতাধিক আফটার শকে বারবার কেঁপে উঠেছে নেপাল। আজ ভোরে নেপালে ফের কম্পন অনুভূত হয়। উৎসস্থল ছিল কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যাওয়া এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনা ও আধা সেনা। শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের পশ্চিম রুকুম ও জাজারকোট জেলা। চারদিকে স্বজনহারাদের কান্না। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল।
ন্য়াশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির তরফে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, রবিবার ভোর ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ ফের কেঁপে ওঠে নেপাল। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে। উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ভূস্তর থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৩.৬। কয়েক সেকেন্ডের জন্য় স্থায়ী হয় কম্পন। তবে ভূমিকম্পের ফলে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মাঝরাতে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতজুড়ে প্রবল কম্পন। কেঁপে ওঠে পটনা, কলকাতাও। গতকাল রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬ দশমিক ৪। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুম জেলা। নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এখনও অনেকে সেখানে চাপা পড়ে আছেন। নেপালের পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৫ সালের ভয়াবহ স্মৃতি উসকে শুক্রবার রাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। আফটার শকের তীব্রতাও ছিল ৩.৩। নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, রুকুম জেলা এবং জাজারকোট এই প্রবল ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।