মুম্বই: গতকাল সকালে টুইট করেও মুছে দিয়েছিলেন। রাতে ব্লগে অমিতাভ বচ্চন স্মরণ করলেন তাঁদের প্রিয় চিন্টুকে। অমিতাভ লিখেছেন, ওকে দেখতে কখনও হাসপাতালে যাইনি। ওর ওই হাসি ভরা গোলগাল মুখে যন্ত্রণা দেখতে চাইনি আমি। ২ বছর ধরে চিকিৎসা চলেছে, কখনও নিজের কষ্টের কথা কাউকে বলেনি ও। বিগ বি লিখেছেন।

গতকাল টুইটে অমিতাভের হাহাকার বহু মানুষের নজর কাড়ে। কিন্তু অল্পক্ষণ পরেই তা মুছে দেন তিনি। ব্লগের ছত্রে ছত্রে ধরা পড়েছে এতদিনের সহশিল্পীকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলে তাঁর অনুভবের কথা। বিগ বি লিখেছেন, ঋষিকে প্রথম দেখা তাঁদের বাড়িতে, চেম্বুরের দেওনার কটেজে। হাসিখুশি, অল্পবয়সী, গোলগাল ছেলে, প্রচুর এনার্জি, চোখে মুখে দুষ্টুমি। তারপর আরকে স্টুডিওজে, অফুরন্ত উৎসাহে ভরা তরুণ, সমস্ত কিছু শিখে নেওয়ার চূড়ান্ত আগ্রহ। আত্মবিশ্বাসে ভরা সেই হাঁটা, সেই স্টাইল যা মনে করাত তার ঠাকুর্দা পৃথ্বীরাজ কপূরের কথা। ওভাবে হাঁটতে আর কাউকে দেখিনি।

বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছি আমরা..

ও যখন সংলাপ বলত, তখন তার প্রতিটি শব্দে আপনারা বিশ্বাস করতেন.. তার কোনও বিকল্প ছিল না, সততা ছিল প্রশ্নাতীত। যেভাবে গানে ঠোঁট মেলাত, তেমন নিখুঁত কাজ করতে আর কাউকে দেখিনি..

শ্যুটিংয়ের সময় সব থেকে সিরিয়াস দৃশ্যেও ও কমেডি খুঁজে পেত, হাসিতে ফেটে পড়তাম আমরা। শুধু সেটে নয়, অন্য অনুষ্ঠানেও ওর উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তুলত সব কিছু।

অসুখ নির্ণয় ও চিকিৎসার সময় কোনওদিন নিজের অবস্থার কথা তোলেনি ও.. বলত, আবার দেখা হবে, হাসপাতালে রুটিন চেকআপ, শিগগিরই ফিরে আসছি।

জীবন যাপনের সেই আনন্দ, পেয়েছিল বাবার কাছ থেকে.. সেই লেজেন্ড, আল্টিমেট শোম্যান, প্রবাদপ্রতিম রাজ কপূর..

কখনও ওকে দেখতে হাসপাতালে যাইনি, ওর হাসিভরা মুখে যন্ত্রণা দেখতে পারতাম না।

কিন্তু আমি নিশ্চিত, যেখানেই ও যাক, মুখে হাসি নিয়েই গিয়েছে।

অমিতাভ লিখেছেন।