নয়াদিল্লি: নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণে অনুমতি। অনুমতি দিল লন্ডনের একটি আদালত। নীরব মোদির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা সিবিআই, ইডির। ‘নীরব মোদির আত্মহত্যার প্রবণতার বিষয়টিও দেখেছি’। জানাল লন্ডনের আদালত।
আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন নীরব মোদি। ১৪ দিনের মধ্যে আদালতে আবেদন করতে পারবেন নীরব মোদি। সেক্ষেত্রে অনুমতি প্রয়োজন লন্ডনের বিদেশ সচিবের।
নীরব মোদির বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে নীরব মোদির বিরুদ্ধে। আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগার থেকে হাজিরা দেন নীরব মোদি। এদিনের শুনানিতে ওয়েস্টমিনস্টার কোর্টের বিচারক স্যামুয়েল গুজি ভারতে তাঁর প্রত্যপর্ণের পক্ষে রায় দিয়েছে।
বিচারক স্যামুয়েল গুজি এদিন শুনানিতে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে নীরব মোদিকে। জেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। বিচারক মোদির বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রাথমিক প্রমাণ থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায় এর মধ্যে অনেক কিছু ভারতের বিচারাধীন বিষয়।
উল্লেখ্য, ভারতে কোনও ব্যক্তির প্রত্যর্পণের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। ভারত-ব্রিটেন প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, দেশের স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দু'মাস সময় আছে। সাধারণত আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রসচিবের মত হয় না। ফের সংশ্লিষ্ট দেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখেন স্বরাষ্ট্রসচিব।