নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় কারচুপির নিয়ে রাহুল গাঁধী যখন সরব, সেই সময় সনিয়া গাঁধীর ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে পাল্টা আসরে নেমেছিল বিজেপি। ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের আগেই সনিয়ার নাম ভারতের ভোটার তালিকায় উঠে গিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির। আদালত যদিও সেই সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দিল। (Sonia Gandhi)

Continues below advertisement

সনিয়া গাঁধী নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে অনুমতি দেওয়া হোক বলে আদালতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সেই নিয়ে শুনানিও শুরু হয়। কিন্তু বিচারক শেষ পর্যন্ত আবেদন খারিজ করে দেন। ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের তিন বছর আগেই সনিয়ার নাম দেশের ভোটার তালিকায় ছিল বলে যে দাবি করেন মামলাকারী, তাও খারিজ হয়েছে। (Congress News)

বিহারে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন ঘিরে রাজনৈতিক তরজা যখন চরমে, ভূরি ভূরি অনিয়ম যখন সামনে আসছে, সেই সময় সনিয়ার বিরুদ্ধে আসরে নামে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নথি প্রকাশ করেন। অমিত দাবি করেন, ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, সঞ্জয় গাঁধী, মানেকা গাঁধীর সঙ্গে সনিয়ার নামও ভোটার তালিকা ছিল।

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিত লেখেন, ‘১৯৮০ সালে প্রথমবার ভোটার তালিকায় ওঁর (সনিয়ার) নাম ওঠে-ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের তিন বছর আগে। তখনও ইতালির নাগরিক ছিলেন’। অমিত দাবি করেন, সেই সময় সমালোচনার মুখে পড়ে সনিয়ার নাম মুছে দেওয়া হলেও, ১৯৮৩ সালে ফের তা ফিরে আসে। ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের ভোটার হিসেবে সনিয়ার নাম তালিকায় থাকলেও, সনিয়া সে বছর ৩০ এপ্রিল ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। রাজীবের সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর কেন সনিয়া ভারতের নাগরিকত্ব নিলেন, সেই প্রশ্নও উস্কে দেন মালব্য। 

এর পরই আদালতে সনিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জমা পড়ে, যা এদিন খারিজ হয়ে গেল। আদালতে সনিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে কোনও আইনজীবী পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন না। ভোটার তালিকায় সনিয়ার নাম থেকে তাঁর নাগরিকত্ব, কংগ্রেস যদিও বরাবরই বিজেপি-র অভিযোগ এড়িয়ে চলছে। মালব্য যে নথি প্রকাশ করেন, তাতে ত্রুটির কথা তুলে ধরলেও, বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি তারা।