গৌতম বুদ্ধ নগর (উত্তরপ্রদেশ) : করোনা পরিস্থতিতে প্রায় রোজই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখছে দেশ। আক্রান্তদের পরিবার-পরিজনের অসহায়তা প্রকট হচ্ছে চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে। এমনই এক করুণ দৃশ্য দেখা গেল নয়ডায়। রেমডিসিভিরের দাবিতে CMO-র পায়ে পড়লেন করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরা। 


এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রেমডিসিভিরের দাবিতে চিফ মেডিক্যাল অফিসার দীপক ওহরির পায়ে পড়ছেন করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরা। 


প্রসঙ্গত, দেশের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যের মতোই উত্তরপ্রদেশেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে যোগী-রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪ হাজার ১৯৯। 


এদিকে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রেমডিসিভিরের চাহিদাও বাড়ছে। অনেক রাজ্যেই এর ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত শনিবারই দেশের ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রেমডিসিভির বণ্টন করেছে কেন্দ্র। 


রেমডিসিভিরের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে এর কালোবাজারি। সম্প্রতি  মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গোরেগাঁওয়ের মতিলাল নগরের একটি হোটেলের রান্নাঘরে হানা দেয়। সেখান থেকে রেমডিসিভিরের ৩৪টি ভায়াল বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রতিটি ভায়াল ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল। 


দিল্লিতেও দেখা গিয়েছে এই চিত্র। রেমডিসিভিরের দুটি ডোজ ১.১৬ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগে এক নার্স এবং অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।


রেমডেসিভির ওষুধের কালোবাজারি দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। অনলাইনে ২০ গুণ দামে রেমডিসিভির বিক্রির অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার করা হয়। ক্রেতা সেজে ধর্মতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


তবে রেমডিসিভিরের অতিরিক্ত ব্যবহার ঠেকাতে পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতেই এই ইঞ্জেকশন দিতে হবে। কোনও রোগীকে রেমডিসিভির দেওয়া হলে, তাঁকে কোন কোন পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে তারও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।