উত্তর দিনাজপুর: একই জমিতে ৬৫ রকমের ধানচাষ। তাও আবার কোনও রাসায়নিক ব্যবহার না করেই। সম্পূর্ণ জৈবিক উপায়ে ভিন্ন ধানের প্রজাতির সংকরায়ন ঘটিয়ে একই জমিতে ৬৫ রকমের সফল ধানচাষ।
কৃষিকাজে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের, বিভাগীয় প্রধান সুভাষচন্দ্র রায়। পেশা ছাত্র পড়ানো হলেও, তাঁর নেশা ধান নিয়ে গবেষণা। দেশীয় পদ্ধতিতে ধানের সংকরায়ণ, ভিন্ন আবহাওয়ায় ভিন্ন চাষ-- এসব নিয়ে নিত্য নতুন পরীক্ষা তাঁর শখ। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য।
উত্তর দিনাজপুরের তুলাইপাঞ্জি চালের সঙ্গে একাধিক প্রজাতির চালের সংকর ঘটিয়ে তৈরি করেছেন বহু নতুন প্রজাতি। ফলে, তুলাইপাঞ্জির সুগন্ধ যেমন তাতে বর্তমান, তেমন বজায় থাকছে অন্য চালের পুষ্টিগুণ। তিনি জানান, কিছুটা ব্যয় বহন করেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
খাদ্যে ভেজাল আর সবজিতে কীটনাশকের ছোবল! এসব থেকে কীভাবে মুক্তি মিলবে? হালফিলে যখন এই সমস্যায় নিয়ে সাধারণ মানুষের ঘুম উড়েছে, তখন নতুন পথের সন্ধান দিচ্ছেন এই অধ্যাপক। তাঁর আশা, এই পদ্ধতিতে উপকৃত হবেন কৃষকরাও।