সৌভিক মজুমদার, রাজা চট্টোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ, কলকাতা: বিশ্বকাপের ফাইনালে অপয়ার জন্য হেরেছে ভারত। ভারতের হেরে যাওয়ার পিছনে নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে 'অপয়া' তকমা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। রাজস্থানে ভোটপ্রচারে গিয়ে করা রাহুলের মন্তব্যের সঙ্গে কার্যত সুরে সুর মেলাল সিপিএম-ও। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি (BJP)। 


'আমাদের ছেলেরা বিশ্বকাপ জিতে যেত ভালভাবেই, অপয়া এসে হারিয়ে দিল'


কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী বলেন,' অপয়া অপয়া। অপয়া। আমাদের ছেলেরা ওখানে বিশ্বকাপ জিতে যেত ভালভাবেই। ওখানে অপয়া এসে হারিয়ে দিল। জনতা জানে।' প্রথমে ১৯৮৩ সালে লর্ডসে। তারপর ২০১১ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে। দুবার বিশ্ববিজয়ী ভারত!এবার গোটা টুর্নামেন্টে লাগাতার দুরন্ত পারফরম্য়ান্স করে, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর বুকে আশা জাগিয়েও। শেষ অবধি আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল হার্ডল টপকাতে পারল না ভারতীয় ক্রিকেট টিম। স্বপ্নভঙ্গের পর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন নরেন্দ্র মোদি। মহম্মদ শামিকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। কাউকে পিঠ চাপড়ে যুগিয়েছেন সাহস। 


জুড়ে গেল রাজনীতি


কোটি কোটি ভারতবাসীর মতোই নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে। নীল জার্সির দলের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেবেন এই আশায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি, পরিচিত চুড়িদার-কুর্তার উপরে চাপিয়ে এসেছিলেন ভারতীয় দলের জার্সির নীল  রঙে রাঙানো হাতকাটা জ্যাকেট। গলায় সেই নীল রঙেরই উত্তরীয়। একপাশে অমিত শাহ। অন্য়দিকে গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ে টানা ১০টি ম্য়াচে বিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে যে রোহিত ব্রিগেড। ফাইনালে উঠেছিল, এই একটি ম্য়াচেই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারল না তারা। স্বপ্নভঙ্গ হল কোটি কোটি ভারতবাসীর। কিন্তু, এই চরম বেদনার সঙ্গেও কোথাও যেন জুড়ে গেল রাজনীতি। নাম না করে কার্যত নরেন্দ্র মোদিকে অপয়া বললেন রাহুল গান্ধী। 


আরও পড়ুন, আগ্রায় পেট্রোলের দর একলাফে বাড়ল ২৫ পয়সা, কলকাতায় জ্বালানির দর কত ?


'যেই মাঠে গেল নরেন, সেই কাপ গেল ফরেন'


সিপিএম  রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন,যেই মাঠে গেল নরেন, সেই কাপ গেল ফরেন। ওই ফাইনাল ইডেনে হতে পারত। ওই ফাইনাল ওয়াংখেড়েতে হতে পারত। তুমি কাশী যেতে পারো, যেতে পারো গয়া, পাবে না এমনো দ্বিতীয় অপয়া।'সিনেমার পর্দার জন্য় এই গান যথেষ্ট হাসির উপাদান যোগালেও, ক্রিকেট নিয়ে রাজনীতি, আর তার মধ্য়ে আবার এমন বিতর্কিত-অপশব্দ ব্য়বহার করার কি কোনও যৌক্তিকতা থাকতে পারে?