জজপুর : সাধারণ মানুষ যাতে কোভিড গাইডলাইন মেনে চলেন, সেই দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। অথচ তিনিই ভাঙলেন নিয়ম! লকডাউনের গাইডলাইন উপেক্ষা করে ভাইয়ের বিয়েতে নাচলেন ওড়িশা অ্যাডমিনিসট্রেটিভ সার্ভিসের(OAS) এক মহিলা অফিসার।


দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই ওড়িশার করোনা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। লকডাউনের আওতায় থাকার পরও শেষ বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৫২ জন। পরিস্থিতির মোকাবলিয়া ১ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে নবীন পটনায়েক সরকার। সেই অনুযায়ী তৎপর প্রশাসনিক আধিকারিকরা।


কিন্তু, সেই ওড়িশাতেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। লকডাউনে গাইডলাইন ভেঙে ওড়িশা অ্যাডমিনিসট্রেটিভ সার্ভিসের(OAS) এক মহিলা অফিসারকে তাঁর ভাইয়ের বিয়েচে নাচতে দেখা গেল। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ওই অফিসার সুকিন্দার তহসিলদার হিসাবে কাজ করেন।


এপ্রসঙ্গে জজপুরের কালেক্টর চক্রবর্তী সিং রাঠোর বলেন,  ওই মহিলা তহসিলদার এখন ছুটিতে আছেন। তিনি কাজে যোগ দিলেন এনিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটা কোভিড লকডাউনের গাইডলাইন ভাঙার সময় নয়। তা সে কোনও অফিসারই হোক বা সাধারণ জনতা। নিজেদের কাজে প্রত্যেকের যুক্তি থাকা উচিত।


রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেছে। তা সত্ত্বেও অনুষ্ঠান করলে যাতে ২৫ জনের বেশি আমন্ত্রিত না থাকেন তা দেখতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে মুখে মাস্ক ছাড়াই নাচলেন ওই মহিলা অফিসার। এমনকী তাঁকে শারীরিক দূরত্ববিধিও মানতে দেখা যায়নি। একটি ভিডিওয় এই দৃশ্য সামনে এসেছে। অথচ এই অফিসারকে কোভিড গাইডলাইন আরোপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে তা মেনে চলেন তা দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু, কোথায় কী ! বিষয়টি সামনে আসার পর অবশ্য তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


প্রসঙ্গত, ওই মহিলা জজপুর জেলায় কর্মরত থাকলেও, তিনি নিকটবর্তী জগৎসিংপুর জেলার ত্রিতল ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামে ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন গত ২১ মে।