হরিদ্বার: নবরাত্রি উৎসবের প্রথম দিন হরিদ্বারের (Haridwar) ৭০ জন বাসিন্দা প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন । সরকারি সূত্রের খবর প্রসাদ বানানো হয়েছিল বাজরার আটা থেকে। সারাদিন উপোস থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেই প্রসাদ খাওয়ার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর।                         


ঠিক কী হয়েছিল?                  


এছাড়া শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে কাংরি, গাজিওয়ালি, ব্রহ্মপুরির মতো আরও কয়েকটি গ্রাম থেকে এমন একই ঘটনার কথা উঠে আসে। সারাদিন উপোস থেকে সন্ধ্যেবেলায় বাজরা আটা থেকে বানানো রুটি, পকোড়া খেয়ে তারা আসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে মেলা হসপিটাল, জেলার জেনারেল হাসপাতাল এবং শ্যামপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেই সকল রোগীরা।                           


জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিনয় শংকর পান্ডে শহর ম্যাজিস্ট্রেট অবদেশ সিং এর সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা শনিবার মেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের প্রধান কে অসুস্থদের সঠিক মত চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন।


কী জানিয়েছে প্রশাসন? 


বিনয় শঙ্কর পান্ডে আরও বলেন, "চমনরায় হাসপাতালে ৩৭ জন, মেলা হাসপাতালে ৩৫ জন এখন ভর্তি। প্রসাদ বিক্রেতাদের মধ্যে দুজন কে চেনা গেছে।সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসাদের নমুনা পরীক্ষা ল্যাবরেটরিতে চলছে।” জেলা খাদ্য সুরক্ষা মন্ত্রী আরএস পাল বলেন, "মানুষের দোকানে রাখা যে কোনো খোলা প্যাকেট থেকে প্রসাদ খাওয়া উচিত নয়।তিনি খাওয়ার আগে খাবারের এক্সপায়ারি ডেটও দেখে নেওয়ার কথাও বলেন।


জেলা কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার পর দোকানে বিক্রি হওয়া প্রসাদ এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর আগেও চৈত্র নবরাত্রি উৎসব উপলক্ষে হরিপুর কালান গ্রামে ২০ জন, হরিদ্বারে ৩০ জনের প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা শোনা গিয়েছিল।