নয়াদিল্লি: দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida)। শনিবারই তাঁর হাতে একটি অসম্ভব সুন্দর শিল্পকর্ম তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চন্দনকাঠের তৈরি ওই শিল্পকর্মটির নাম কৃষ্ণ পাঙ্খি (Krishna Pankhi)। রাজস্থানে তৈরি হওয়া ওই শিল্পকর্মের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। প্রেম, সমবেদনা এবং কোমলতার প্রতীক হিসেবে ভগবান কৃষ্ণের (lord krishna) বিভিন্ন ভঙ্গিমা অসম্ভব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই শিল্পকার্যে।


কী এই কৃষ্ণ পাঙ্খি?
হাতপাখার মতো দেখতে এই শিল্পকর্ম। আগাগোড়া চন্দনকাঠে (sandalwood) তৈরি। ছোট ছোট যন্ত্রের মাধ্যমে খালি হাতে খোদাই করে তৈরি হয় এটি। পাখার ঠিক মাথায় থাকে একটি ময়ূরের মূর্তি। যার সঙ্গে কৃষ্ণ লোককথার যোগ রয়েছে। অন্যদিকে ময়ূর (peacock) ভারতের জাতীয় পাখিও। পাখার মতো দেখতে অংশটির ধারে ঘুঙরু আকৃতির ছোট ছোট জিনিস রয়েছে। যা হাওয়ার সঙ্গে দোলে। আর পাখার মতো অংশটি জুড়ে রয়েছে জালির মতো সূক্ষ কারুকাজ। গোটা হস্তশিল্পটিতে খোদাই করে কৃষ্ণের লীলার কিছু কিছু নিখুঁত মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


কোথায় তৈরি?
রাজস্থানের চুরুতে (churu) চন্দনকাঠের এই ধরনের হস্তশিল্প তৈরি হয়। বংশপরম্পরায় এই ধরনের হস্তশিল্প তৈরি করা হয়। পরিবারের এক প্রজন্মের হাত ধরে শিল্পের কাজ শেখে আরেক প্রজন্ম। 


রাজস্থানের (rajasthan) বেশ কিছু পরিবার রয়েছে-- যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চন্দনকাঠের কারুশিল্পের কাজ করে থাকেন। এমনই একটি বিখ্যাত পরিবার হচ্ছে জাঙ্গির পরিবার (jangid family)। তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা এই ধরনের হস্তশিল্প তৈরি করেন। জাতীয় পুরস্কারও মিলেছে। চন্দনকাঠের বিভিন্ন মিনিয়েচার (miniature) শিল্পকর্মও তৈরি করেন এই শিল্পীরা। বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি থেকে শুরু করে অসংখ্য শিল্পকর্মের সৃষ্টি করেন এই শিল্পীরা। তৈরি হয় দাবার বোর্ড, গয়নার বাক্সের মতো সামগ্রীও। 


আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে বোরিং কে? কী বলছে গবেষণা?