নয়াদিল্লি: 'কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা কংগ্রেসের সংস্কৃতি', সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা আইনজীবীদের চিঠির প্রেক্ষিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেল 'এক্স'-এ লিখলেন, '১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।' পাল্টা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বলেছেন, 'আমাদের বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য শোভা পায় না।'


তরজা যা নিয়ে...
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল 'এক্স'-এ একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। লেখেন, 'কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা কংগ্রেসের সংস্কৃতি। পাঁচ দশক আগে, ওরাই একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ডাক দিয়েছিল। লজ্জাহীন ভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাকিদের সবটুকু চায় ওরা। কিন্তু দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে নারাজ। ১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।' এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কিছুক্ষণ আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে লেখা হরিশ সালভে-সহ দেশের নানা প্রান্তের প্রায় ৬০০ জন আইনজীবীর একটি চিঠি রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। চিঠিতে অভিযোগ, স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটি গোষ্ঠী বিচারব্যবস্থার উপর লাগাতার চাপ তৈরি এবং আদালতকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশেষত, যেসব মামলায় রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেই সব মামলার কথা এই প্রসঙ্গে  উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অরুণাচল ওয়েস্টের প্রার্থী, কিরেণ রিজিজু এই নিয়ে গত কালই সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'কংগ্রেসই ভারতীয় সংবিধানকে শিকেয় তুলে একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ভাবনা এনেছিল। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা চায়, আদালত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন শুধু তাদের স্বার্থ রক্ষা করে। না হলেই তারা সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকেই আক্রমণ করতে শুরু করে দেয়।' এর পরই সরব হতে শোনা যায় কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গেকে।


কংগ্রেসের জবাব...
প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিবৃতি, 'ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে আপনি যেহেতু নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বল মনে করেন, তাই আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। কেন, সুপ্রিম কোর্টের চার বর্ষীয়ান বিচারপতি অভূতপূর্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনার শাসনকালেই গণতন্ত্রের হত্যা নিয়ে সতর্ক করলেন? কেন আপনার সরকার একজন বিচারপতিকে রাজ্য়সভায় মনোনীত করল?' কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও এই নিয়ে আক্রমণ শানান। সব মিলিয়ে এই চিঠি ঘিরে লোকসভা ভোটের মুখে ফের চড়েছে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের তরজা।


 


আরও পড়ুন:৫০ দিনের ভেন্টিলেশন, ৮৮ দিন NICU-তে ! ৬২০ গ্রামের শিশুকে নতুন জীবন দান চিকিৎসকদের