নয়াদিল্লি :  চব্বিশের মহাযুদ্ধের আগে তিন বড় রাজ্যে বিজেপির ( BJP ) জয়জয়কার।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ( Narendra Modi )  বিপুল জনপ্রিয়তা। সেই সঙ্গে রামমন্দির উদ্বোধনের মতো আবেগপূর্ণ ইস্যু। সব মিলিয়ে দিল্লির দরবারে নরেন্দ্র মোদির সরকারের হ্যাটট্রিক শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই দাবি করল দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী মোদির  তৃতীয় মেয়াদ 'প্রায় অনিবার্য' বলে মতপ্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটেনের  জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে। 


 হান্না এলিস-পিটারসনের  লেখা কলামে দাবি করা হয়েছে,  মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং রাজস্থানে গেরুয়া জয়জয়কার, আগামীতে কেন্দ্রেও গেরুয়া দলের জয়ের দিকেই ইঙ্গিত করছে। প্রায় দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার পরও মধ্য়প্রদেশ ধরে রাখা এবং পাঁচ বছরের মধ্য়ে রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ় কংগ্রেসের থেকে পুনরুদ্ধার, লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরকে নতুন শক্তি জুগিয়েছে। এই বিষয়টিই ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ব্রিটিশ ওই গণমাধ্যম। 


ওই কলামে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনীতিতে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ও বিজেপির হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শ  দেশের বৃহৎ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে বিজেপির জায়গা পোক্ত করেছে।  বিশেষ করে উত্তরের হিন্দি বলয়ে গেরুয়া শিবিরের জনপ্রিয়তা অব্যাহত রেখেছে। 


কলামনিস্টের দাবি, ভারতের দক্ষিণ ও পূর্বের রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিকভাবে বিজেপি কঠিন বিরোধিতার সম্মুখীন। কিন্তু সর্বভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গেলে তা নিতান্তই খণ্ডিত ও দুর্বল। 

সম্প্রতি ৪ রাজ্যের মধ্য়ে যখন তিন রাজ্যেই ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থান, মধ্য়প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। গার্ডিয়ান এই ফলকে তুলে ধরে মন্তব্য করেছে, ' ভারতে প্রধান বিরোধী দল, জাতীয় কংগ্রেস,এই মাসে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেশে মাত্র তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে ''। কংগ্রেস দলে অন্তর্দ্বন্দ্বে রয়েছে বলে মতপ্রকাশ করা হয়েছে ওই কলামে। 


যদিও কলামনিস্টের সংশয় প্রকাশ করেছেন, নরেন্দ্র মোদির দল ২০১৯ এর মতো বিরাট জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসবে কি না তা নিয়ে। কারণ তাঁর মতে,  বিহার এবং মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে দলের অবস্থান অনিশ্চিত। তাছাড়া লোকসভা ভোটে  'চাকরি এবং মুদ্রাস্ফীতি' র মতো বিষয়গুলি ভোটের  ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। দ্য গার্ডিয়ানের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরাট জনপ্রিয়তা (  stratospheric popularityবিধানসভা নির্বাচনগুলির থেকে জাতীয় নির্বাচনে আরও ভাল ফল নিয়ে আসতে পারে।