কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় ২০ মে রাজ্য ও জেলাস্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই বৈঠক নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার।


ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে জানানো হয় আগামী ২০ মে করোনা মোকাবিলা নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। যে ১০টি রাজ্য সরকারকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেই তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। এ রাজ্যের যে জেলাগুলির অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে চান, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার।         


আর বৈঠক নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সিএমও-কে এড়িয়ে কেন বলে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা বিজেপির তোপ সবেতেই রাজনীতি। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই তালিকায় আছে কেরল, উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থান, হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার রাজ্য ও জেলাস্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নামও।


এদিকে সম্প্রতি করোনা বিধ্বস্ত একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেই তালিকায় এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অন্যদিকে, গতকালই ভ্যাকসিন চেয়ে ফের একবার নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০ কোটি মানুষকে ও দেশে ১৪০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কিন্তু, সেই তুলনায় যা উৎ‍পাদন হচ্ছে, তা অত্যন্ত কম। এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত ক্ষুদ্র জনসংখ্যাকেই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা মেটাতে বিদেশি সংস্থাগুলিকে দিয়ে টিকা উৎপাদন করানো যেতে পারে। দেশে তাদের শাখা খোলার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। কেন্দ্র চাইলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভ্যাকসিন তৈরির কারখানার জন্য জমিও দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।