শ্রীনগর : আজ জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের নজর রয়েছে এই অনুষ্ঠানের দিকে। শ্রীনগরে ডাল লেকের তীরে হবে এই যোগ অনুষ্ঠান। শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন কমপ্লেক্সে এর আয়োজন করা হয়েছে। এ বছরের থিম "Yoga for Self and Society"। 


একাধিক ভিআইপি, অল্পবয়সি ও জম্মু ও কাশ্মীরের হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ আসন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ৪ হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।  


বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ জায়গায় যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির কর্তব্যপথ, চণ্ডীগড়, দেরাদুন, রাঁচী ও জবলপুর রয়েছে এই তালিকায়। গতবছর তিনি এই অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে। যার জেরে এবার শ্রীনগরের অনুষ্ঠানে অনেকের নজর থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে জম্মু ও কাশ্মীর। কারণ, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বহু সংখ্যক মানুষ ভোট দিতে বেরিয়ে এসেছেন। আবার সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার রক্তাক্তও হয়েছে উপত্যকা। এমাসে জম্মুতে চার বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেসি জেলায় তীর্থযাত্রীবাহী হামলার ঘটনাও। যাতে ১০ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এই পরিস্থিতিতে এবার বিশাল জাঁকজমক করে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠান পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উপত্যকায়।


২০১৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতা দিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেখানেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। যোগব্যায়ামের (International Yoga Day 2024 History) বিভিন্ন সুফলের কথা তিনি তুলে ধরেন। এর পর যোগব্যায়াম নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রচারের জন্য একটি বিশেষ দিন নির্ধারণের কথাও বলেন তিনি। ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সমাবেশে একটি শপথ নেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ২১ জুন বিশ্বের ১৭৭টি দেশ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে পালনে অংশ নেয়। তাঁর কথায়, ২১ জুন তারিখটি এই দিবসটির জন্য উপযুক্ত। কারণ বিভিন্ন জাতির মধ্যে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পাশাপাশি এই দিনে উত্তর গোলার্ধে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর উল্লম্বভাবে আলো ফেলে। উত্তর গোলার্ধের এই দীর্ঘতম দিনটিকে উত্তরায়ণের শেষ দিন বলে।