আগরতলা: ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee ) সভা নিয়ে শনিবার পর্যন্ত টান টান লড়াই চলেছে বিজেপি চালিত ত্রিপুরা (Tripura) প্রশাসন এবং তৃণমূলের মধ্যে। করোনা বিধি, আরটিপিসিআর টেস্ট সংক্রান্ত নিয়ম বদল, পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তৃণমূল। রবিবারের সভায় প্রথমে অনুমতি দিলেও ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে সভা হয় রবিবার। আর সেই মঞ্চ থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করেন যে এরপর ডিসেম্বরে ত্রিপুরায় সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।
বিপ্লব দেবের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েই অভিষেক বলেন, "ছলে বলে আটকানোর চেষ্টা। আমাকে এত ভয় কিসের? দুয়ারে গুণ্ডা, সঙ্গে প্রশাসন, ইডি, সিবিআই সব রেখেছে। আমাকে আটকানোর জন্য ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমি আসবই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন। ডিসেম্বরে বিবেকানন্দ মাঠে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল এখান থেকে সরিয়ে বিবেকানন্দ মাঠে সভা করতে। বিপ্লব দেবের স্বপ্নপূরণ করে দেব আমি। ওই মাঠেই ডিসেম্বরে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। তার আগে আমি নভেম্বরে দু থেকে তিনবার আসব।"
সভামঞ্চ থেকেই সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, "২০২৩ এ ঘর বাড়ি নিয়ে এখানে চলে আসব, ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ত্রিপুরার জন্য লড়াই করব। এক বিন্দু জমি বিপ্লব দেবের জন্য ছাড়ব না। বিজেপির জন্য ছাড়ব না। এটা সিপিএম, কংগ্রেস নয়। এটা তৃণমূল। যত কাটবেন তত বাড়বে। ত্রিপুরা আগামিদিনে দিল্লি পরিচালনা করবে, দিল্লি ত্রিপুরা পরিচালনা করবে না।" প্রসঙ্গত, আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে শনিবার টানটান নাটক হয় দিনভর। হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খায় বিপ্লব দেব প্রশাসন। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে জয় পায় তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "কোর্ট থেকে শুরু হয়েছে ভোটে শেষ হবে। বিজেপি ভাইরাসকে আটকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভ্যাকসিন। তাই এঁদের প্রথম ডোজ ২৫ নভেম্বর দিন। দ্বিতীয় ডোজ বিধানসভা নির্বাচনে দিন।"
তিনি এও বলেন, "আজ পা রাখলাম খুঁটি পুজো করলাম। ২০২৩ সালে বিসর্জন হবে। যা করার করে নিন। ত্রিপুরায় দুয়ারে গুণ্ডা নয় দুয়ারে সরকার হবে। বাংলায় কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীশ্রী এবং উন্নয়ন প্রকল্প ত্রিপুরায় করা হবে।" এই মঞ্চ থেকে এদিন যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার বিজেপি নেতা আশীস দাস। তিনি কিছু দিন আগেই বিজেপি ত্যাগ করেন। অন্যদিকে, এদিন তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কৃতজ্ঞতা জানাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একটা অভিমানে, জেদের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি ভুল করেছিলাম। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। নানা রকম স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত।"