কলকাতা : গতকাল কুণাল ঘোষের পর আজ অপরূপা পোদ্দার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে প্রধানমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে ট্যুইট তৃণমূল সাংসদের। আর এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিরোধীরা। আক্রমণ রাহুল সিনহা ও অধীর চৌধুরীর।


আগের দিনই ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, তবে তার মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেকরকম তো হবেই।


এবার এই ইস্যুতে ট্যুইট তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের। ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, আমি চাই, আমাদের দিদি ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবর্ধন জগদীপ ধনকড়ের থেকে বাংলায় ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। 


এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর তড় সইছে না। পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের গদি থেকে নামিয়ে নিজেই বসে পড়েন। আজ ঠিক এই অবস্থা। তারই সূচনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাঁরা যাঁরা ইতিমধ্যে এই জাতীয় কথা বলতে শুরু করেছেন, ট্যুইট করতে শুরু করেছেন- তাঁরা সব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফলোয়ার। অর্থাৎ দিল্লির লোভ দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদি ছাড়াও। ওদিকে দিল্লিও হবে না, এদিকারও যাবে। এই অবস্থা তৈরি করার এটা একটা গভীর চক্রান্ত। এই চক্রান্তই তৃণমূলের সর্বনাশ করবে। তার একটা ইঙ্গিত বলে মনে করছি।"


অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আর তাঁর ভাইপোকে তোষামদি করার প্রতিযোগিতা চলছে। আমরা তো দেখতে চাই, আমাদের লোকেরা বড় বড় জায়গায় চলে যাচ্ছে। কিন্তু, তার তো কোনও ভিত্তি থাকবে। পাগলের মতো কেউ স্বপ্নের জাল বুনলে আমাদের কিছু করার নেই। সব কিছুর একটা ভিত্তি থাকা দরকার। এখন থেকে সব সাল, তারিখ। আমরা রাজনীতি করি, জ্যোতিষ চর্চা করি না। যাঁরা জ্যোতিষ চর্চা করেন, তাঁদের পক্ষে এটা বলা সম্ভব।"