কলকাতা : সিপিএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে নতুন ৪ সদস্য। সম্পাদকমণ্ডলীতে এলেন জীবেশ সরকার, দেবু ঘোষ, দেবলীনা হেমব্রম ও জিয়াউল আলম।


হুগলির সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবু ঘোষ ও দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন জীবেশ সরকার। জিয়াউল আলম মূলত চা-শ্রমিক আন্দোলনের নেতা। তাঁকে নতুন সম্পাদকমণ্ডলীতে আনা হয়েছে। দেবলীনা হেমব্রম এবার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন। তাঁকেও এবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে নেওয়া হয়েছে। আপাতত চার জনকে নিয়ে ১৫ জনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী গঠন করা হয়েছে। 


সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন ও পার্টি কংগ্রেস শেষ হয়েছে। রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব-সহ ৬টি পদ খালি হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে দীর্ঘদিন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনিও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বিদায় নেন। এখানে কারা আসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। এবার সামনে এল সেই নাম। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে এলেন নতুন ৪ সদস্য।


সম্প্রতি সূর্যকান্ত মিশ্রের থেকে বাংলায় সিপিএম-এর রাশভার ওঠে মহম্মদ সেলিমের (Mohammed Salim) হাতে। সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক নিযুক্ত হন তিনি। আর একই সঙ্গে রদবদল ঘটে যায় সিপিএম-এর রাজ্য কমিটিতে। একে একে বিদায় নেন বিমান, সূর্যকান্ত, রবীন দেব, গৌতম দেব, মৃদুল দে-র মতো প্রবীণ নেতারা।


প্রায় চার দশক রাজ্য কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিমান। এনিয়ে বিমান জানিয়েছিলেন, “খারাপ লাগছে না। আমি জানি, নতুনরা দায়িত্ব নেবে। কাউকে তো দায়িত্ব ছাড়তেই হবে! তবেই তো নতুন কেউ দায়িত্ব নেবে!” একই সুর ধর পড়ে রবীনের (Rabin Deb) গলাতেও। তিনি বলেন, “খারাপ লাগবে কেন ? ছাড়তে সবাইকেই হয়। এটাই আমাদের সংগঠনের নিয়ম।” সিপিএম-এর রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান সুশান্ত ঘোষ, শতরূপ ঘোষ, সুদীপ সেনগুপ্ত, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১৪ জন। মহিলা এবং তরুণ প্রজন্মের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয় নতুন রাজ্য কমিটিতে।