কলকাতা : রাজ্য়ে নিত্যদিন বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আগামী ২ মাস সব কিছু বন্ধ রাখা উচিত। নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, বলে প্রতিক্রিয়া জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "যদি তৃণমূলের মহামন্ত্রী মনে করেন ভোট হওয়া উচিত নয়, তাহলে তিনি তো ওই দলের সেকেন্ড ম্যান, তিন কেন বলছেন না ভোট বন্ধ করা হোক ? কীসের স্বার্থে ? নাকি লোকের কাছে ভাল সাজতে চাইছেন আবার ক্ষমতাও ভোগ করতে চাইছেন ? দুটো হতে পারে না। ওঁর পার্টি না চাইলে এখানে নির্বাচন কমিশনের কী হিম্মত আছে ভোট করার ? ওদের বকলমে করানো হচ্ছে। আমরাও বলছি, এক-দুমাস থাক বন্ধ ! কী অসুবিধা আছে ? যদি স্কুল-কলেজ, খেলাধূলা-ফিল্ম ফেস্টিভ্য়াল বন্ধ হয় তো ভোট কেন বন্ধ হবে না ? খালি লোককে খুশি করার জন্য কিছু বিবৃতি দিলে হবে না।"


অন্যদিকে বাম নেতা শমীক লাহিড়ি (Samik Lahiri) অভিষেককে একহাত নিয়ে বলেন, "উনি তো খেলা মেলা সবই করলেন। কীভাবে কোভিড পরিস্থিতিতে ১ জানুয়ারি রাতে অনুষ্ঠান হয় ? গোটা মহেশতলা আজ করোনা আক্রান্ত এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য। আর এখন মানুষকে উপদেশ দিচ্ছেন! আগে নিজেদের অপরাধের জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চান।"


আরও পড়ুন ; ' নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত মত ' বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, তিনি যে কথাটা বললেন তাঁর জেলাতে গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছে। হ্যাঁ কোর্টের অর্ডারেই হচ্ছে। কিন্তু, রাজ্যের সরকার অ্য়াডভোকেট জেনারেলকে দিয়ে যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে কি একবারও লিখেছে যে এই করোনা আবহে এই মেলা বন্ধ রাখা উচিত। 


অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে দলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "উনি সঠিকভাবেই বলেছেন। এটি আমাদের দলের ঘোষিত অবস্থান। সেটাই তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।"


প্রসঙ্গত, আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে আগামী ২ মাস সব কিছু বন্ধ রাখা উচিত। নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত মত।' আগামী দুমাস ডায়মন্ডহারবার সংসদীয় এলাকায় কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। করা যাবে না বড় আকারের কোনও ধর্মীয় সমাবেশও। বলেন অভিষেক।


উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভায় ভোটগ্রহণ। তার আগে অভিষেকের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যবহ।