বীরভূম: সবই আছে। তবু বারবার নাড়া দিয়ে যাচ্ছে তাঁর অনুপস্থিতি। মিরিটির মুখার্জি বাড়ির পুজোর মধ্যমণি তো ছিলেন একজনই, প্রণব মুখোপাধ্যায়। যতদিন বেঁচে ছিলেন, নিষ্ঠাভরে মন-প্রাণ ঢেলে দেবীর আরাধনা করেছেন। তাঁর কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনা যেত। বাকি সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুজোর আয়োজন দেখভাল করতেন। কিন্তু সেই ছবি আজ অতীত। মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো মানেই, চোখের সামনে ভেসে ওঠা ছবিগুলি আর কোনওদিন ফিরবে না। এবারের পুজো প্রণবহীন। ৩১ অগাস্ট তিনি চলে গিয়েছেন। বাড়ির পুজোর আনন্দ এবার ফিকে।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর এবার পুজোর ভার তাঁর ছেলে অভিজিতের হাতে। অন্যান্য বারের মতো এবারও মহাসপ্তমীতে কুয়ে নদীতে নবপত্রিকা স্নান এবং তারপর ঘট ভরে এনে শুরু হয় পুজোর আচার। বাড়ির পুজোর প্রতিটি আচারেই জড়িয়ে থাকতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেসব স্মৃতি বারবার মন খারাপ করে দিচ্ছে বাড়ির সকলের। সেই সুরই ফুটে উঠল অভিজিতের কথায়। বললেন, সবই নিয়ম মেনে হচ্ছে। কিন্তু বাবাই এবার নেই। মন খারাপ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে থাকুন বা রাষ্ট্রপতি। প্রণব মুখোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় আসেননি, এমনটা কখনও হয়নি। যতই প্রোটোকল থাক, পুজোর চারটে দিন একেবারে গৃহকর্তার মতো পুজোয় ব্যস্ত থাকতেন তিনি। কিন্তু, সেসব এখন শুধুই স্মৃতি।