কলকাতা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে হোটেলবন্দি ছিলেন বিজেপি বিধায়করা (BJP MLA)। সকালে হোটেল থেকে বাসে তাঁরা রওনা দিলেন বিধানসভায়। হোটেলের বাইরে সাকল থেকেই ছিল রীতিমতো উত্সবের চেহারা। আদিবাসী অঞ্চলের বিধায়করা পরেছেন সেই এলাকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির পোলিং এজেন্ট হয়েছেন মাদারিহাটের বিধায়ক ও বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। গতকাল এই হোটেলেই বিজেপি বিধায়কদের জন্য মক পোলের ব্যবস্থা করা হয়। বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  


আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে? আজ তারই নির্বাচন। এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে যশবন্ত সিন্হাকে প্রার্থী করেছে বিরোধী দলগুলি। সামগ্রিক পরিস্থিতির বিচারে বিরোধীরা ব্যাকফুটে। তবে শেষপর্যন্ত কী হবে, তা জানা যাবে আগামী ২১ জুলাই।


তার আগে গতকাল নিউটাউনের হোটেলে দলের বিধায়কদের এনে রাখে বিজেপি। ক্রস ভোটিংয়ের ভয় থেকেই এমন সিদ্ধান্ত, কটাক্ষ করে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, সময়মতো বিধানসভায় পৌঁছনো ও প্রশিক্ষণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে চাপানউতোরের মাঝে উস্কে গেল ‘রিসর্ট রাজনীতি’র বিতর্কও! 


প্রথমে গুজরাতের সুরাত, সেখান থেকে অসমের গুয়াহাটি শেষে গোয়া। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতনের আগে, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের এভাবেই বিজেপিশাসিত তিন রাজ্যের পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে রাখা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি রিসর্ট রাজনীতি এর আগে দেখা গিয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যেও। এবার কি বিজেপির হাত ধরে রিসর্ট রাজনীতির আমদানি হল বাংলায়? 


রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে, বিজেপি বিধায়কদের রাজারহাটের ওয়েস্ট ইন হোটেলে নিয়ে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে উঠতে শুরু করেছ এই প্রশ্ন। ২০২১’র বিধানসভা ভোটে ২০০ আসন টার্গেট করে ৭৭ আসনে জয়ী হয় বিজেপি। এরপর ৭ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। বাকি থাকে ৭০ জন বিধায়ক। বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূলে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিধায়ক পুত্র পবন সিংকে বাদ দিয়ে মোট ৬৯ জন বিধায়ককে রাজারহাটের হোটেলে আসতে বলা হয়।