Sonam Raghuvanshi: মেঘালয়ের হানিমুন মার্ডার কেসে পুলিশের হাতে এসেছে নতুন তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, সোনম নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মেসেজ দেখার জন্য একবার ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন চালু করেছিল। এখানেই শেষ নয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, সোনম এবং রাজা রঘুবংশীর চারটি ফোন ছিল। সম্ভবত তার মধ্যে রাজার ছিল একটি ফোন। তিনজন ভাড়াটে খুনি রাজাকে খুন করার পর, তার ফোন ভেঙে ফেলে সোনম এবং ফেলে দেয় ভাঙাচোরা ফোনটি, খবর পুলিশ সূত্রে। বাকি তিনটি ফোনেরও এখনও হদিশ পাওয়া যায়নি। সেগুলি খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনটি ফোন সোনম রঘুবংশীরই।
পুলিশ জানিয়েছে, যে তিনটি ফোন এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তার মধ্যে একটিতেই ইন্টারনেট অন করেছিল সোনম। তার ফলে সিম অ্যাক্টিভেশনের তথ্য পেয়ে যায় পুলিশ এবং সোনমকেও খুঁজে পাওয়া যায়। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখতে যাওয়াই কাল হল তার। যদিও গ্রেফতারের পর সোনমকে পুলিশ জানায়নি তার ফোনের কী হয়েছে। এখনও সোনমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জেরার মাধ্যমে ফোনগুলির হদিশ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় এই ফোনগুলির খঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
১১ মে বিয়ে হয়েছিল রাজা রঘুবংশী এবং সোনমের। তাঁরা দু'জনেই ইন্দোরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের আগে থেকেই রাজ কুশওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। কিন্তু তারপরেও রাজার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সোনমের পরিবারের ফার্নিচার শিট ইউনিটে অ্যাকাউন্ট্যান্টের পদে কাজ করতেন রাজ। পরিবারের ব্যবসা দেখতেন সোনমও। বিয়ের পর মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সোনম এবং রাজ। ২৩ মে নিখোঁজ হন তাঁরা। এরপর ২ জুন উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশীর দেহ।
একটা নয়, দুটো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে। একটি কাটারি আগেই উদ্ধার হয়েছিল। এবার উদ্ধার হয়েছে দ্বিতীয় কাটারিটিও, খবর পুলিশ সূত্রে। মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশীর খুনের ঘটনার পুনর্নিমান করেছে পুলিশ। আর ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করার সময় অভিযুক্তদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। সেই সময়েই দ্বিতীয় কাটারিটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দ্বিতীয় কাটারিটিও উদ্ধার হয়েছে সেই খাদ থেকেই, যেখান থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং উদ্ধার হয়েছিল আগের কাটারিটিও। গত ২৩ মে মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে মৃত্যু হয়েছে রাজা রঘুবংশীর। স্ত্রী সোনম, তাঁর প্রেমিক এবং আরও ৩ ভাড়াটে খুনির হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ইন্দোরের তরুণ ব্যবসায়ী। এর ১০ দিন পর উদ্ধার হয় দেহ।