দিল্লি : এর আগে অক্সিজেনের কালোবাজারি দেখেছে রাজধানী। রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনেরও। ফের একবার রেমডিসিভিরের কালোবাজারি অভিযোগ উঠল দিল্লিতে। গ্রেপ্তার তিন। অভিযুক্তদের কাছ থেকে সাতটি ভায়াল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিটি ভায়াল তারা ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছিল। ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।


ধৃতদের নাম- লিখিত গুপ্তা, অনুজ জৈন ও আকাশ ভার্মা। এর মধ্যে লিখিত ও অনুজের যথাক্রমে দিল্লির দারিয়াগঞ্জ ও চাঁদনিচকে ওষুধের দোকান রয়েছে। আকাশের গয়নার দোকান।


গতকালই রেমডিসিভিরের কালোবাজারির অভিযোগে দুইজনকে তিলকনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দুটি রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট ও এপিডেমিক অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়। 


এই চিত্র শুধু দিল্লিতেই নয়। রেমডিসিভিরের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশেও। গতকালই ছত্তিশগড়ের রাইপুরে এরকম একটি চক্রের খোঁজ মেলে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাইপুর পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটি ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি করে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন বিক্রি করছিল। তাদের কাছ থেকে সাতটি ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করা হয়। 


এদিকে গতকাল জাল রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের কলোবাজারি ও বিক্রির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে। এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের লাসুডিয়া থানায় দুটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়। একটি মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে ইঞ্জেকশনের কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে। ৩০ হাজার টাকায় তারা ইঞ্জেকশন বিক্রি করছিল। এদিকে গ্লুকোজ ভর্তি ইঞ্জেকশনকে রেমডিসিভির নাম দিয়ে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল বাকি দুজন। হাসপাতাল থেকে তারা রেমডিসিভিরের খালি ভায়াল নিয়ে এসে তাতে গ্লুকোজ-জন ভরে রেখেছিল। 


এছাড়াও সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশেও এই ইঞ্জেকশনের কালোবাজারির অভিযোগে দুই চিকিৎসক সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রুখতে গতকালই পদক্ষেপ গ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতেই এই ইঞ্জেকশন দিতে হবে।