মুম্বই: পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে যাননি। বরং অভিনয়কে পেশে করেছেন। সেই রিতেশ দেশমুখ খবরের শিরোনামে উঠে এলেন রাজনৈতিক ভাষণের জন্য। আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেস প্রার্থী করেছে রিতেশের ভাই ধীরজ বিলাসরাও দেশমুখকে। ভাইয়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন রিতেশ। গেরুয়া শিবির ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বলে অভিযোগ তুললেন। 


মহারাষ্ট্রের লাতুরে ধীরজের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন রিতেশ। সেখানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা বেকার হয়ে বসে রয়েছেন, যথেষ্ট কর্মসংস্থা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। ২০ নভেম্বর ভোট দিতে যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলি যাতে মাথায় রাখেন সাধারণ মানুষ, আর্জি জানান রিতেশ। 
বিজেপি-কে আক্রমণ করতে গিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী তুলে ধরেন রিতেশ। অভিনেতা বলেন, "কর্মই ধর্ম। কায়মনোবাক্যে কর্তব্য পালন করে যাওয়াই কর্ম এবং সেই কর্মই আসল ধর্ম। সততার সঙ্গে কর্ম করেন যাঁরা, ধর্ম পালন করেন তাঁরা। যাঁরা কর্ম করেন না, ধর্মকে শুধু ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা।"



রিতেশ আরও বলেন, "কিছু রাজনৈতিক দল বলছে ধর্মের উপর না কি বিপদ নেমে এসেছে! ধর্মকে বাঁচাতে, রক্ষা করতে মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে। আসলে ধর্ম নয়, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে ওরা। ধর্মকে সামনে রেখে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে।" রিতেশের কথায়, "যারা ধর্ম নিয়ে জ্ঞান দিতে আসবে, ওদের বলে দেবেন, আমরা ধর্মের বিষয়টি বুঝে নেব। আসল কথায় আসুন, জীবনের সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলুন। ফসলের ন্যায্যমূল্য, মা-বোনেদের নিরাপত্তা নিয়ে কী পরিকল্পনা, জানতে চান।"



লাতুর গ্রামীণ আসনে ধীরজকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। বিজেপি-র রমেশ করাদের সঙ্গে লড়াই তাঁর। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সন্তোষ গণপতরাও নাগরগজেও সেখানে প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালে ওই আসন থেকে জয়ী হন ধীরজ। সেবার ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ভোট পান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট যায় নোটায়। এবারও লাতুর গ্রামীণ আসনে ধীরজই জয়ী হবেন বলে আত্মবিশ্বাসী রিতেশ।