গত রবিবার রামলীলা ময়দানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস, তার সহযোগীদের পাশাপাশি ‘শহুরে নকশালদের’ কাঠগড়ায় তুলে তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে মিথ্যা, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন, এতে ভারতের কোনও মুসলিমের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভারতে কোনও ডিটেনশন সেন্টারও নেই।
মোদি বলেন, সিএবি, এনআরসির কোনও প্রভাবই মুসলিমদের ওপর পড়বে না, যারা ভারতের মাটির সন্তান, যাদের পূর্বসূরীরাও ভারত মায়ের সন্তান। কেউ এ দেশের মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠাচ্ছে না, ডিটেনশন সেন্টারই এদেশে নেই। এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা, একটা খারাপ উদ্দেশ্য, নোংরা চক্রান্ত করে এসব প্রচার চলছে। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্তি, হিংসায় শুধু উত্তরপ্রদেশেই ১৫-১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রামলীলার ভাষণে এইসব অশান্তির পিছনে কংগ্রেসের মদত, উসকানির অভিযোগ করেন মোদি, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে কংগ্রেস গুজব ছড়াচ্ছে বলেও দাবি করেন।
পাল্টা কংগ্রেস ট্যুইট করে, স্রেফ গুগুল ঘাঁটলেই বেরিয়ে যাবে, উনি মিথ্যা বলছেন!
প্রধানমন্ত্রী কি ভাবছেন যে, ভারতবাসীরা স্রেফ একটা গুগল সার্চ মেরেই জেনে যেতে পারেন না যে উনি মিথ্যা বলছেন? ডিটেনশন সেন্টার একটা চরম বাস্তব এবং এই সরকার ক্ষমতায় যতদিন থাকবে, তার সংখ্যা বাড়বে।
একটি সূত্রের দাবি, ‘বেআইনি বিদেশিদের’ রাখার জন্য অসমে গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৫০ কিমি দূরে মাটিয়ায় একটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রের ২০১৯ এর জানুয়ারির গাইডলাইন অনুসারে। অসমে ইতিমধ্যেই ‘অবৈধ বিদেশিদের’ আটকে রাখার জন্য ৬টি ডিটেনশন সেন্টার আছে, যেগুলি কোনও না কোনও জেলের ভিতরে।
এদিকে রাহুল মোদিকে নিশানা করায় পাল্টা বিজেপির তথ্য ও প্রযুক্তি শাখার ইনচার্জ অমিত মালব্য প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ২০১১-র একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির স্ক্রিনশট ট্যুইট করেছেন, যাতে অসমে ৩৬২ বেআইনি অনুপ্রবেশকারীকে ডিটেনশন শিবিরে পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। সেই ছবি সহ তিনি ট্যুইট করেছেন, রাহুল গাঁধী। ২০১১য় কংগ্রেস সরকারের এই প্রেস রিলিজ দেখেছেন যাতে ৩৬২ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। স্রেফ ভারত আপনাকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আপনি আপনার ঘৃণা আর আর আতঙ্ক ছড়ানোর রাজনীতি দিয়ে তাকে ধ্বংস করার পণ করেছেন?