নয়া দিল্লি : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে একদিকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা হচ্ছে। "অপারেশন গঙ্গা"য় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাঁদের। এর পাশাপাশি ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করল ভারত। 


জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে ব্ল্যাঙ্কেট, মাদুর, সোলার স্টাডি ল্যাম্প পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেওয়া একটি বিমানে ওইসব সামগ্রী পাঠানো হয়। পরে বিকালের দিকে রোমানিয়ার উদ্দেশে যাওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার অপর একটি বিমানও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যায়। এমনই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।


এদিকে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন উভয়ে। এর পাশাপাশি ভারতীয়দের নিরাপদে উদ্ধার নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়। 


পরে পিএমও-র তরফে জানানো হয়, উভয়ে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। মূলত খারকিভ শহর নিয়ে কথা হয়। কারণ, সেখানে এখনও আটকে বহু ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদের কীভাবে নিরাপদে বের করে আনা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে।


বুধবারই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কিভে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রথম নির্দেশিকা জারির পর ইউক্রেনের সীমানা ছেড়েছে প্রায় ১৭ হাজার ভারতীয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫টি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। 


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধলে, তা পরিণত হতে পারে পারমাণবিক যুদ্ধে। যা আরও ধ্বংসাত্মক হবে! ইউক্রেন-যুদ্ধের আবহে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ! এদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে পড়ল ১৪১টি ভোট। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৫টি। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত।


রাশিয়ার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্রমশ বাড়ছে প্রাণহানি! মহা বিপদের মুখে ভারতীয় পড়ুয়ারাও! এই যুদ্ধ কবে থামবে কেউ জানে না ।