প্রাগ: রাশিয়ার হামলায় ছারখার ইউক্রেন (ukraine)। হামলার তৃতীয় দিনেই, ইউক্রেনের রাস্তা রাশিয়ার সেনার (russian army) দখলে। পাল্লা দিয়ে লড়াই ইউক্রেনেরও। পুতিনের সৈন্যকে রুখতে দেশের সাধারণ মানুষকে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনিস্কি।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল পূর্ব ইউরোপেরই আর একটি দেশ চেক রিপাবলিক (czech republic)। তবে সৈন্য পাঠাবে না তারা। তার বদলে অস্ত্রের (arms) জোগান দেওয়া হবে ইউক্রেনকে। চেক রিপাবলিকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (defense ministry) জানিয়েছে, দ্রুত তারা ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাবে। কী ধরনের অস্ত্র থাকবে? জানানো হয়েছে, মেশিন গান, সাব মেশিন গান। অ্যাসল্ট রাইফেল (assault rifle), ছোট আগ্নেয়াস্ত্র পাঠানো হবে ইউক্রেনে। সেই অস্ত্রের মোট মূল্য মার্কিন ডলারের হিসেবে ৮.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (us dollar)।
চেক রিপাবলিকের তরফে বলা হয়েছে তারাই এই অস্ত্র পৌঁছবে। ইউক্রেন সরকারের ঠিক করা জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে অস্ত্রভান্ডার। এর আগেও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে চেক রিপাবলিক। ৪০০০ আর্টিলারি শেল বা গোলা দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে ইউক্রেনকে।
আগেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে আমেরিকা (america) ও ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে অস্ত্র। সামরিক সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠিয়েও সাহায্য করা হচ্ছে। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের (france) প্রেসিডেন্টও।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কথা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সহায়তা ও যুদ্ধবিরোধী জোট নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্য করছে আমেরিকাও।
রাশিয়ার তরফে একতরফা হামলা চালানোর পর, কার্যত বিধ্বস্ত ইউক্রেন। সৈন্য সংখ্যা থেকে অস্ত্রের পরিমাণ। কোনওদিন থেকেই রাশিয়ার সমকক্ষ নয় ইউক্রেন। বারবার সাহায্যের আবেদন করলেও কোনও দেশ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউরোপের মাটিতে আরও বড় মাপের যুদ্ধ এড়ানোর জন্যই সরাসরি যুদ্ধ থেকে দূরে রয়েছে একাধিক দেশ।
আরও পড়ুন: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ব্রিটেনে কোবরা ওয়ারিয়র এক্সারসাইজে সামিল হচ্ছে না বায়ুসেনা