সৌমিক সাহা, পোল্যান্ড: ইউক্রেনের (Ukraine) বুচায় উদ্ধার ৪৫ ফুট লম্বা গণকবর! বর্বরতার জন্য উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক রাশিয়াকে (Russia), বিশ্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা করার কৌশল নিয়েছে আমেরিকা (America)। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে  ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবি তুলেছে ভারত (India)।


বুচায় বর্বরতা!


ইউক্রেনের কিভের কাছে বুচা শহর। গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে পুতিন-বাহিনীর বিরুদ্ধে! উদ্ধার হয়েছে ৪৫ ফুট লম্বা গণকবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ৪০ দিনের মাথায়। এমন ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছে গোটা বিশ্ব।


পোল্যান্ডের রাজধানীতে আশ্রয় নিয়েছেন ইউক্রেনের বুচা শহরের বহু মানুষ! এখানে বসেই তাঁরা খবর পেয়েছেন প্রিয় শহরে নির্বিচার গণহত্যা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনা।  ইউক্রেনের হিসেবে দেড় হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ-শিশু বর্বরতার বলি। যার নিন্দায় সরব ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, বিশ্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, বুচায় বর্বরতার জন্য উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক রাশিয়াকে।


আরও পড়ুন, স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাপের নামে প্রতারণাচক্র, এই বার্তার উত্তর দেননি তো ?


ভারতের প্রতিক্রিয়া


রাষ্ট্রপুঞ্জে বুচায় গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। এই ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তির মন্তব্য, বুচায় নিরীহ নাগরিকদের নির্বিচার হত্যার যে তথ্য সামনে এসেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ভারত। ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবির সমর্থনও করছে নয়াদিল্লি।


কিন্তু ইউক্রেনের বুচা শহরে নির্মম এই ঘটনার নেপথ্যে কারা? রাশিয়ার প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী না অন্য কোনও ঘাতক বাহিনী? বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠছে, ইউক্রেনের বুচায় গণহত্যা চালাল কারা? রাশিয়ার সেনা না কি প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো চেচেন বাহিনী? শোনা যায়, চেচনিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় রমজান কাদিরভের বাহিনী বহু সাধারণ নাগরিককে হাত-বেঁধে খুন করেছিল। সেই একই কায়দায় বর্বরতা চলেছে বুচায়। 


আমেরিকার কৌশল


গত ৪২ দিন ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। কিভ...লিভিভ...মারিউপোল-সহ একাধিক শহর বিধ্বস্ত। ইউক্রেনের দাবি, তাদের দেশের মাটিতে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি যুদ্ধপরাধের ঘটনা ঘটিয়েছে রাশিয়া। এই অবস্থায় রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। একাধিক বড় ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক লেনদেনে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।


ফের কি এক ঠাণ্ডা যুদ্ধের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব? ইউক্রেনে লাগাতার আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধপরাধী তকমা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মস্কোকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে বাণিজ্যে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেছে হোয়াইট হাউস। পাল্টা কৌশল খুঁজছে ক্রেমলিনও। কিন্তু, আর কত প্রাণ গেলে তবে থামবে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ? এটাই বড় প্রশ্ন।