নয়াদিল্লি: এককালে লতায়পাতায় সম্পর্ক ছিল তাঁদের। বিপেদ আপদে পরস্পরের পাশেও থেকেছেন। কিন্তু ট্যুইটার (অধুনা X) কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk) এবং সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সেরগেই ব্রিনের মধ্যে সেই সখ্য আর নেই (Sergey Brin divorce)। সেরগেইয়ের অগোচরে তাঁর স্ত্রী নিকোল শানাহানের (Nicole Shanahan) সঙ্গে মাস্ক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে কয়েক বছরই। তার পর থেকেই মাস্ক এবং সেরগেইয়ের মুখ দেখাদেখি বন্ধ বলে শোনা যায়। সেই আবহেই এবার চুপিসাড়ে নিকোলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ সারলেন সেরগেই। 


সেরগেইয়ের স্ত্রী নিকোল পেশায় আইনজীবী এবং ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। বছর তিনেক আগে তিনি মাস্কের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান বলে সামনে আসে। তার পর ২০২১ সাল থেকে সেরগেই এবং নিকোল আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন সেরগেই। আবেদনে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলেই এমন সিদ্ধান্ত।


এ বছর ২৬ মে শেষ মেশ তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে। এতদিন বিষয়টি গোপনই ছিল। সেরগেই এবং নিকোলের চার বছরের এক কন্যা রয়েছে। দু'জনেই মেয়েকে বড় করে তোলায় সমান ভাবে দায়-দায়িত্ব পালন করবেন। সপ্তাহ এবং মাসের নিরিখে ভাগ করে সময় কাটাবেন মেয়ের সঙ্গে। নিকোল এবং সেরগেইয়ের দাম্পত্যের মাঝে মাস্ক ঢুকে পড়াতেই, এমন পরিণতি বলে দাবি করছেন অনেকে। যদিও মাস্ক এবং নিকোল সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। মানসিক, শারীরিক, কোনও সম্পর্ক হয়নি মাস্কের সঙ্গে, জানান নিকোল।


আরও পড়ুন: Vaibhav Jewellers IPO: বাজারে আসছে আরও এক গয়নার কোম্পানির আইপিও,কত টাকা হবে বৈভব জুয়েলার্সের শেয়ারের দাম ?


কিন্তু এই বিবাহবিচ্ছেদের নেপথ্যে মাস্কের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন সেরগেই এবং নিকোলের ঘনিষ্ঠদের একাংশ। সেরগেই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানালে, সেই নিয়ে কোনও চ্যালেঞ্জে যাননি নিকোল। তবে খোরপোষের দাবি জানান তিনি। কাদা ছোড়াছুড়িতে যাননি দু'জনের কেউই। আইনজীবীর খরচ যেমন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন, যাবতীয় সম্পত্তিও সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন পরস্পরের সঙ্গে। গোটা বিষয়টি গোপন রাখতে বিশেষ চুক্তিও হয় তাঁদের মধ্যে। 


২০১৫ সালে নিকোল এবং সেরগেই পরস্পরের কাছাকাছি আসেন। ওই বছরই প্রথম স্ত্রী, অ্যান ওজকিকির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সেরগেইয়ের। এর পর ২০১৮ সালে নিকোল এবং সেরগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৫০ বছর বয়সি সেলগেই গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই মুহূর্তে বিশ্বের নবম ধনী ব্যক্তি তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।