নয়াদিল্লি: সূচি মেনে আজ হল সপ্তম দফার বৈঠক। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের এই বৈঠকে মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। আন্দোলনের দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও কী হবে ভবিষ্যৎ, তার উত্তর পাওয়া গেল না আজও। নিজেদের অবস্থানে অনড় দুপক্ষই। ফের আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসবে কেন্দ্র এবং কৃষকদের প্রতিনিধিরা।

আজ ৪০ দিনে পড়ল দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন। এদিন বৈঠকে বসেন কৃষক নেতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা। আন্দোলন করতে গিয়ে প্রয়াত কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এদিন বৈঠকের শুরুতে দুমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাতে অংশ নেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরাও। কিন্তু বৈঠকে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকল দুপক্ষই।

এদিনের বৈঠক শেষে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়ত বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে হবে। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, কানুন ওয়াপসি নেহি তো ঘর ওয়াপসি নেহি। যার অর্থ আইন প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এই বৈঠক শেষ হয় বিকেলে। বৈঠকের পর সার ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা ছাড়া আর কোনও বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই। আমরা আমাদের দাবি আবারও জানিয়েছি। প্রত্যাহার করতে হবে ৩ কৃষি আইন। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি মানা হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সোমাবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াস এবং সাংসদ সোম প্রকাশ সহ কেন্দ্রের একাধিক প্রতিনিধি। এদিন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার বলেন, সপ্তম দফার বৈঠক পরেও আন্দোলনকারী কৃষকরা তাঁদের দাবিতে অনড়। কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জেদি মনোভাব কৃষকদের।

উল্লেখ্য, গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারেরে দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনে বসেন কৃষকরা। গত শনিবার তাঁরা জানান, সোমবারের বৈঠকে কোনও সমাধান না পাওয়া গেল, রাজধানীর বুকে প্যারেড করবেন তাঁরা।  হুঁশিয়ারির সুরে কৃষকরা জানান, আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে প্যারেড করবেন বিক্ষোভকারীরা।