নয়াদিল্লি: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ নিয়ে এবার বিবৃতি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করলেন তিবি। অবিলম্বে চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি দিতে হবে বলে দাবি জানালেন তিনি। বাংলাদেশে মানবাধিকার চরম ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আইনজীবী হত্যার ঘটনায় দ্রুত শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি, ইউনূস সরকারকেও একহাত নিয়েছেন হাসিনা। (Sheikh Hasina)
সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ISKCON-কে সেদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে, যা খারিজ হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবারই। আর সেই আবহেই মুখ খুলেছেন হাসিনা। সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন হাসিনা। এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। (Bangladesh News)
হাসিনা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়, 'চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা করছি আমি। এই নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ী যাঁরা, তাঁদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার চরম ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তাঁকে যারা পিটিয়ে মারল, তারা সন্ত্রাসবাদীর তুলনায় কিছু কম নয়। তারা যে-ই হোক না কেন, শাস্তি দিতে হবে। ইউনূসের (মহম্মদ) অসাংবিধানিক এই সরকার যদি দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাদের ঘাড়েও মানবাধিকার রক্ষা করতে না পারার দায় বর্তাবে'।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাসিনার বার্তা, 'বাংলাদেশের মানুষের কাছে আর্জি, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান শাসক বেআইনি ভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে নাগরিক সুরক্ষা, সবেতে ব্যর্থ তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে সাধারণ মানুষের উপ যে দমননীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা করছি আমি'।
চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিরও তীব্র নিন্দা করেছেন হাসিনা। তাঁর বক্তব্য, 'হিন্দু সমাজের একজন নেতাকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর আগেও মসজিদ, সৌধ, গির্জা, মনাস্ট্রিতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে, আগুন ধরানো হয়েছে আহমদিয়াদের বাড়িতে। লুঠ, ভাঙচুর, হামলা চলেছে। নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা যেনতেন প্রকারে রক্ষা করতে হবে। আওয়ামি লিগের অগণিত নেতা, কর্মী, পড়ুয়া, সমাজকর্মী, সরকারি কর্মীদের খুনের পর বাংলাদেশের বর্তমান শাসক মানুষকে হেনস্থা করছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি'।