নয়াদিল্লি: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' থেকে দেশের নাম 'ভারত' করা, বিশেষ অধিবেশনে সংসদে একাধিক বিল উঠতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচ দিনের যে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে, তা আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দিল্লি সূত্রে খবর, ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের ওই অধিবেশন শুরু হবে পুরনো সংসদভবনে, শেষ হবে সেন্টার ভিস্তা প্রকল্পের অন্তর্গত নয়া সংসদভবনে। তার আগে সাংসদদের গ্রুপ ছবি তোলার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। (Special Parliament Session)


১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের ওই বিশেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে সংসদে। দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, পর দিন, অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বরের অধিবেশনই নয়া সংসদভবনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন বসছে। তবে প্রশ্নোত্তর পর্ব বা প্রাইভেট মেম্বার্স বিল থাকছে না এই অধিবেশনে। (New Parliament Building)


'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশনের ঘোষণা করেন। কী কারণে এই অধিবেশন, তা নিয়ে যদিও কিছু খোলসা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। 'অমৃতকালে' এই অধিবেশনে যে আলোচনা হবে, তা ফলদায়ক হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন প্রহ্লাদ। 


আরও পড়ুন: India or Bharat: ‘হিন্দুস্তান’, ‘মেলুয়া’, ‘জম্বুদ্বীপ’, পুরাণ থেকে বেদ, এক দেশের হরেক নাম


সাধারণত, বছরে তিন দফায় সংসদের অধিবেশন হয়, বাজেট অধিবেশন, বাদল অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশন। তাই হঠাৎ করে পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকার কী প্রয়োজন পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে ঘোষণার পর দিনই জানা যায়, 'এক দিন, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করতে আট সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন যাতে একসঙ্গে করানো যায়, তা বিবেচনা করে দেখতে বলা হয় ওই কমিটিকে। তাই সংসদের এই অধিবেশনে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করতে বিল আনা হতে পারে বলে জল্পনা। একই সঙ্গে দেশের নাম শুধু 'ভারত' রাখা নিয়েও, সংবিধান সংশোধনের বিল আনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।


তবে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কিছুই খোলসা করেনি কেন্দ্র। সেই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী। বিশেষ অধিবেশন ডাকা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেন এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে, কী নিয়ে আলোচনা হবে, নিয়ম অনুযায়ী কোনও দলকে কিছু জানানোও হয়নি বলে দাবি সনিয়ার।