নয়া দিল্লি: শ্রীলঙ্কার (Srilanka) আর্থিক সংঙ্কট চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই বলে সতর্ক করে দিলেন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের (Parliament) স্পিকার (Speaker)। তিনি জানান, খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কট চলছে। সঙ্কট আরও বাড়তে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।
সঙ্কট প্রেক্ষিতে মন্তব্য জয়সূর্যের
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সনত্ জয়সূর্য তাঁর দেশের এই সঙ্কট নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের মানুষকে যে এই দুঃসহ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এই অবস্থা চলতে পারে না বলেই মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুত্ সঙ্কট চরমে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক অস্থিরতা
অন্যদিকে, চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের জেরে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আরেকদিকে জিনিসপত্রের চড়া দাম। নাজেহাল শ্রীলঙ্কাবাসী। দেশে এখন ওষুধের তীব্র ঘাটতি। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার থেকে শ্রীলঙ্কায় জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রে বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট ভয়াবহ। স্বাধীনতার পর থেকে এমন চরম আর্থিক সঙ্কট দেখেনি শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শাসককেই দুষছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন, দেশে করোনার নতুন প্রজাতির হানা? 'প্রমাণ নেই', জানাল কেন্দ্র
শিশুদের মুখে খাবারের জোগান দেবেন যে, সেই অবস্থাও নেই
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় চালের ন্যূনতম দাম ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১ কেজি চাল কিনতে সেখানে ২২০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৯০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২৪০ টাকা দাম রাখা হয়েছে চিনির। নারকেল তেলের দাম পৌঁছেছে প্রতি লিটারে ৮৫০ টাকায়। একটি ডিম কিনতে সেখানে ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাহককে। শুধু তাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করা অল্প খেয়ে শিশুদের মুখে খাবারের জোগান দেবেন যে, সেই অবস্থাও নেই। কারণ সেখানে প্রতি কেজি গুঁড়ো দুধের দাম পৌঁছেছে ১৯০০ টাকায়। সবজি সেদ্ধ করে খাওয়ার উপায়ও নেই। কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহের সবজির দাম বাড়তে বাড়তে দ্বিগুণ, ত্রিগুণ থেকে প্রায় চতুর্গুণ হয়ে গিয়েছে।