কৌশিক, গাঁতাইত: পশ্চিম বর্ধমানের বরাকরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় এবার সাসপেন্ড আরও ৩ পুলিশ অফিসার। এদের মধ্যে ২ জন এসআই ও একজন এএসআই। এর আগে এই ঘটনায় বরাকর ফাঁড়ির ইনচার্জ ও কুলটি থানার এক এসআই-কে সাসপেন্ড করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও কাজ করতে পারবেন না ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা।


চুরির অভিযোগে আটক অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ঘিরে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কুলটির বরাকর। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। মঙ্গলবারের পর বুধবারও, নতুন করে অশান্তি ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার বরাকরে।পুলিশের মারে আরেক অভিযুক্তর মৃত্যুর গুজব ছড়াতে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পশ্চিম বর্ধমানের বরাকর। অন্যদিকে, পুলিশের মারে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।


চুরির অভিযোগে সোমবার রাতে আরমান আনসারি, শ্যামল বাউড়ি-সহ চারজনকে বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় আরমানের। পুলিশের মারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ উঠতেই মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এই অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্যামল বাউড়ি নামে আরেক অভিযুক্তর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই এদিন সকালে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বরাকর। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসী। যে যুবকের মৃত্যুর গুজবে এদিন রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে এলাকা সেই শ্যামল বাউড়ি ভর্তি আছেন হাসপাতালে।


আরমান আনসারির মৃত্যুর ঘটনার একদিন পরেও থমথমে ছিল বরাকরের একাংশ। অঘোষিত বনধের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গতকাল সকালের দিকে বাজার খুললেও, দ্রুত তার ঝাঁপ পড়ে যায়। কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে বরাকর ফাঁড়ি চত্বর। এলাকা অগ্নিগর্ভ থাকায়, টহলদারি চালায় পুলিশ। দায়ের হয়েছে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ।