হুগলি: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ফের ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা। কলকাতার মুচিপাড়া থানা এলাকার দম্পতি-সহ মৃত ৩। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দম্পতির দেড় বছরের শিশুকন্যা ও পরিচারিকা।
তিনদিন আগে পরিবারকে নিয়ে কামাপুকুর-জয়রামবাটি ঘুরতে গিয়েছিলেন মুচিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা দেবদূত মণ্ডল। রবিবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা কেড়ে নিল দম্পতি-সহ ৩ জনের প্রাণ!
পুলিশ সূত্রে খবর, নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন দেবদূত মণ্ডল। গাড়িতে ছিলেন দেবদূতের স্ত্রী, শাশুড়ি, দেড় বছরের শিশুকন্যা এবং পরিচারিকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার ভোরে হুগলির গুড়াপ থানা এলাকায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে পিছন দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে দেবদূতের গাড়ি।
ধাক্কার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গাড়িটি প্রায় দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মৃতের তালিকায় রয়েছেন, দেবদূত মণ্ডল, দেবলীনা মণ্ডল দে এবং চন্দ্রিমা দে। শিশু ও পরিচারিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়ি চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তার জেরেই দুর্ঘটনা। এই রাস্তার পোশাকি নাম, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। ডানকুনি থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত অংশ পরিচিত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে। আর এই এক্সপ্রেসওয়েতেই একের পর এক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর এই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর সিঙ্গুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। চোখে গুরুতর আঘাত পান তৃণমূল সাংসদ। চলতি বছরের ৭ মার্চ, কলকাতা থেকে সিউড়ি যাওয়ার পথে হুগলির গুড়াপের কাছে এই এক্সপ্রেসওয়ের ওপরই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের।
এরপর ২২ মার্চ একটি গাড়ির উপর পিচ বোঝাই ট্যাঙ্কার উল্টে মৃত্যু হয়, ২ শিশু, এক নাবালিকা সহ একই পরিবারের ৭ জনের। এবার তালিকায় জুড়ল রবিবারের ঘটনা।