পূর্ব মেদিনীপুর: ইয়াস বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে আজ পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দুটি দল। মন্দারমণি-সহ সমুদ্র তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করার কথা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের।
একটি দল হেলিকপ্টারে যাবে, অন্য দলটি সড়কপথে। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকও করার কথা তাঁদের।
শেখ শাহি, অলীকপান্থ দে, রাজীব প্রতাপ দুবে, আর বি কল হেলিকপ্টারে দিঘা যাচ্ছেন। নরেন্দ্র কুমার, সংযুক্তা কাঞ্জিলাল ও দীপশেখর সিংহল যাচ্ছেন সড়কপথে।
আগামীকাল কলকাতার কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের কথা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের। তারপর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের।
৭ সদস্যের দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা। গতকাল একটি দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় যায়। আর একটি দল যায় গোসাবায়।
গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের একটি দল ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে চড়ে পৌঁছয় পাথরপ্রতিমায়। আরেকটি দল কলকাতা থেকে সড়কপথে গদখালি পৌঁছে গোসাবায় যায়।
এখান থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সড়কপথে যায় রাঙাবেলিয়া ও জটিরামপুরে। সেখান থেকে স্পিড বোটে চড়ে পৌঁছয় কুমিরমারি।
দিঘার সুন্দর সৈকত এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। মার্বেল বাঁধানো বসার জায়গা থেকে দোকানপাট থেকে শুরু করে হোটেলের পাঁচিল থেকে সাজানো বাগান-- কোনওকিছুই আস্ত নেই।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পর্যটনপ্রিয় বাঙালির পছন্দের দিঘা। দিঘা থেকে মন্দারমনি, শংকরপুর - সব জায়গায় এক ছবি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটনকেন্দ্র দিঘার হাল ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
তাণ্ডবের ক্ষত ছড়িয়ে আছে গোটা তাজপুর জুড়ে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জলধা গ্রাম। চারমাস আগে তৈরি হয় সমুদ্র বাঁধ। ইয়াস ও ভরা কটালের জেরে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে বাঁধ ভেঙে মিশে গিয়েছে সমুদ্র তটে।
রাস্তা ভেঙে গ্রামে ঢুকেছে জল। সরকারি ত্রাণের ভরসাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা। আগামী বুধবার অমাবস্যার কটাল। ফলে নতুন করে জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।