কলকাতা: এবার বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। দিন পনেরো আগে তাঁর মাতৃ বিয়োগের পর সমবেদনা জানিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে খোঁজ নেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। বিজেপির স্থানীয় নেতারা খোঁজ নিলেও, যোগাযোগ করেননি রাজ্য নেতারা। এনিয়ে অভিমানী প্রবীর ঘোষাল।


পাশাপাশি, তাঁর দাবি, অনেকবার খোঁজ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছি, এখনও দল পরিবর্তনের কথা ভাবিনি, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন প্রবীর ঘোষাল। এনিয়ে বিজেপি অথবা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে পা বাড়িয়েছিলেন অনেক তৃণমূল নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়কও। শুভেন্দু অধিকার, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনিও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছিলেন তিনি।  এমনকি, উত্তরপাড়া আসনে বিজেপি তাঁকে টিকিটও দিয়েছিল। কিন্তু জিততে পারেননি। ভোটের পর তাঁর গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর।


উল্লেখ্য, ভোটের পর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক নেতা তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন। একদা তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ সোনালি গুহ ভুলস্বীকার করে ফের তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানান। দীপেন্দু বিশ্বাসও একই ধরনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার আরও অনেক ছোট-বড় নেতা ফের পুরানো দলে ফিরতে চেয়েছেন। যদিও তৃণমূল ওই নেতাদের সম্পর্কে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আজ দলের জোড়া বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। 


প্রবীর ঘোষাল বলেছেন, তিনি এখনও দল পরিবর্তনের কথা ভাবেননি। কিন্তু তাঁর গলায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে অভিমান ঝরে পড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তিনিও হয়ত পুরানো দলেই ফিরে আসতে চান। ভোটের আগে যাঁরা দলে এসেছিলে, ভোটের পর তাঁদের উল্টো পথে হাঁটা সম্পর্কে বিজেপি বলেছে, এতে কিছু যায় আসে না। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরাই বলতে পারবেন, কেন চলে যাচ্ছেন।