মন্দারমণি (পূর্ব মেদিনীপুর): মন্দারমণির সমুদ্রতটে গাড়ি চালানোয় জারি হল নিষেধাজ্ঞা। গাফিলতির জেরে ক্লোজ কোস্টাল থানার ওসি রাজা মণ্ডল।
প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে ফিরল হুঁশ। মন্দারমণির তিন যুবকের মৃত্যুর পর সমুদ্রতটে গাড়ি চালানোয় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জেলা প্রশাসন।
এখানকার গ্রামবাসীরা যে ট্রেকারে যান, তা-ও সমুদ্রতট দিয়েই যায়। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, এই ট্রেকার চালানোর জন্য মন্দারমণি কোস্টাল থানা থেকে বিশেষ অনুমতিপত্র নিতে হবে।
মন্দারমণিতে কয়েকটি হোটেল রয়েছে, যেখানে যেতে গেলে সমুদ্রতট দিয়ে গাড়ি না নিয়ে গেলে উপায় নেই।
পর্যটকদের সেই হোটেলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ছাড়পত্র রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে বুকিংয়ের নথি দেখাতে হবে। তবে গাড়ি চলাচলের জন্য খুঁটি দিয়ে আলাদা একটি চ্যানেল তৈরি করে দেওয়া হবে। শুধু সেই জায়গা দিয়েই গাড়ি যেতে পারবে।
পাশাপাশি পুলিশি নজরদারির অভাবের যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে মন্দারমণি কোস্টাল থানার ওসি রাজা মণ্ডলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় নতুন ওসি করা হচ্ছে কাঁথির আইসি পার্থ বিশ্বাসকে।
এদিকে, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত অন্য গাড়িটির চালক দীপেশরঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলকাতার কৈখালির বাসিন্দা বছর বাইশের ওই যুবকের বিরুদ্ধে ৩০৪-এ অর্থা‍ৎ গাফিলতির জেরে মৃত্যু, ২৭৯ অর্থাৎ বেপরোয়া গাড়িচালনা ও ৩৩৮ অর্থাৎ গুরুতর আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
২০১৪-র জুন মাসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দারমণির সৈকতে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু, তারপরও ২১ মে গাড়ি দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। এবার ছবিটা বদলাবে কিনা, সেই উত্তর দেবে ভবিষ্যতই।