পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। এবার বাঁকুড়ায়। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থার ভোটাভুটিতে তৃণমূল ৯ -৬ ব্যবধানে জয়ী হওয়ায় বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল। আর যার পরই তুঙ্গে উঠেছে দু'দলের রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারনেই দুজন সদস্যা প্রধানের বিপক্ষে ভোটদান করেছেন। উল্টোদিকে, বিজেপির বিদায়ী উপপ্রধানের দাবি, কোনও দুর্নীতি বা স্বেচ্ছাচারিতা নয়, প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে ওই দুই সদস্যাকে নিজেদের পক্ষে টেনেছে তৃণমূল। যদিও ভীতি প্রদর্শন ও প্রলোভনের কথা অস্বীকার করেছে দল বদল করা দুই পঞ্চায়েত সদস্যা। 


গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের ১৫ আসন বিশিষ্ঠ মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮ টি আসন পায় বিজেপি। এবং ৭ টি আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। সেই সময়ে শাসকদল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ক্রস ভোট দেওয়ায় বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান ত্রিবেনী বাউরির পক্ষে মোট ভোট পড়ে ৯টি। কিন্তু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছবিটা বদলাতে শুরু করে। বিজেপি পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি সদস্য ফুলমনি হেমব্রম ও চিন্তামনী ঘোষ গত ১৯ জুলাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। এরপরই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় তৃণমূল। আজ সেই অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে বিজেপির প্রধান ত্রিবেনী বাউরির বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯ টি। প্রধানের পক্ষে ভোট পড়ে ৬ টি। আপাতত যা নিয়েই তুঙ্গে উঠেছে দুই রাজনৈতিক দলের তরজা। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই মালদা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় বিজেপি ছেড়ে রাজ্যের শাসকদলে যোগদানের ভিড়ের জেরে ক্রমশ তৃণমূলের পক্ষে বাড়চে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাও।