পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘা-শঙ্করপুর-তাজপুর-মন্দারমণি। বাঙালির ‘হলিডে ডেস্টিনেশনে’র চার মূর্তি। যেখানে বছরভর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়।
কিন্তু অভিযোগ, এই সমুদ্র সৈকতগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নুলিয়ার দেখা মেলে না। ফলে সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছিল। ছবিটা বদলাতে অবশেষে উদ্যোগী হল প্রশাসন। এই প্রথম সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুরু হল নুলিয়া-নিয়োগের পরীক্ষা।মঙ্গলবার থেকে দু’দিন ধরে, দিঘার সমুদ্র ও অমরাবতী পার্কের লেকে চলে পরীক্ষা-পর্ব। তমলুকের মহকুমাশাসক শুভ্রজ্যোতি ঘোষ বলেন, পরীক্ষা নিচ্ছি। যারা কোয়ালিফাই করবে নিয়োগ করব।
‘সরকারি-নুলিয়া’ হওয়ার জন্য, যে বিষয়গুলি দেখা হচ্ছে, সেগুলি হল-- কে কতক্ষণ জলে ডুবে কিম্বা ভেসে থাকতে পারে। এছাড়া, যাচাই করা হচ্ছে জোয়ারের সময় প্রতিকূলতা ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা। এমনকী, স্পিড বোট কে কী রকম চালাতে পারে, তাও দেখা হচ্ছে।
এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, আগে নুলিয়া মানে অন্যরকম ছিল, এখন অন্যরকম, সরকারই সব করছে। এতদিন পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতগুলিতে ৩১ জন নুলিয়া থাকলেও, তাঁদের মধ্যে কোনও মহিলা ছিলেন না। তাই মহিলাদেরও এই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যে ৯৫ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ১২ জন মহিলা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, দিঘা-শঙ্করপুর-তাজপুর-মন্দারমণিতে গত ৬ মাসে জলে ডুবে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুমিছিল ঠেকাতেই নুলিয়া নিয়োগে উদ্যোগী হল প্রশাসন।