গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম : দুয়ারে সরকারের ধাঁচে এবার দুয়ারে পুলিশ। পোশাকি নাম ‘পাড়ায় পাড়ায় থানা’। বীরভূম জেলা পুলিশের নতুন উদ্যাগ। অভিযোগ জানাতে এখন থেকে যেতে হবে না থানায়, পাড়াতেই আসবে পুলিশ। বসবে থানা। ছোটখাটো অভিযোগের সমাধান এলাকাই গিয়েই করবে পুলিশ। বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবার শুরু হল ‘পাড়ায় পাড়ায় থানা’ কর্মসূচি।
রবিবার মহম্মদবাজারের দীঘল পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন পরিষেবার সূচনা করেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, পরিষেবা দিতে এবার ‘আম-আদমি’-র দোরগোড়ায় পৌঁছবে থানা। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন থেকে, ছোটখাটো অভিযোগের জন্য যেতে হবে না থানায়। পাড়ায় গিয়ে অভিযোগ শুনে সমস্যার সমাধান করবে পুলিশ।
বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'পাড়ায় পাড়ায় থানা শুরু করলাম আমরা। নির্দিষ্টি দিনে নির্দিষ্ট গ্রামে পৌঁছে যাবে থানা। গুরুতর নয় এমন সমস্যার সমাধান এলাকাতেই হবে।' এদিনই কয়েকজন গ্রামবাসীর অভিযোগ শুনে সমস্যার নিষ্পত্তি করে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের এই উদ্যোগ নিয়ে দীঘল গ্রাম পঞ্চায়েতের জনৈক বাসিন্দা মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, 'আমার জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। পুলিশ এখানেই সমাধান করে দিলেন। থানায় যেতে হল না। আমি খুশি।'
পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রামপুরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'পাড়ায় পাড়ায় থানা পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অনেক সময় মানুষ ভয়ে বা ভোগান্তির জন্য দূরে থানায় যেতেন না। এখন সাধারণ মানুষের সুবিধে হবে।' ‘পাড়ায় পাড়ায় থানা’ চালু হলে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়বে বলেও সাধারণ মানুষের আশা।
কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামে একমাসব্যাপী দুয়ারে পুলিশ কর্মসূচি চালু হয়েছিল। করোনা আবহে যাতে থানায় না গিয়েও পুলিশের কাছে প্রয়োজনে অভিযোগ জানানো যায় ও যাবতীয় সমস্যার সুরাহা হয় সেটা মাথায় রেখেই যা চালু হয়েছিল।। নন্দীগ্রামের ১৬টি জায়গায় পুলিশি সহায়তা ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যেখানে গেলেও থানার মতোই যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।