বহরমপুর ও কলকাতা: যে সমস্ত আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয়, সেইসব ক্ষেত্রে পুনর্গণনার জন্য বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে  আজ জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বহরমপুরে চা-চক্রে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, কোথায়, কীভাবে পিটিশন তা নিয়ে আইনজীবীরা আলোচনা করছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই আবেদন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে ভোট পুনর্গণনা অথবা খারিজের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হয় পুরুলিয়ার বলরামপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীরা।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরইমধ্যে পুরুলিয়ার বলরামপুর,পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না,হুগলির গোঘাট, এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীরাও, ভোট পুনর্গণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন।এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে বলরামপুরে ৪২৩ ভোটে,ময়নায় ১ হাজার ২৬০ ভোটে, বনগাঁ দক্ষিণে ২ হাজার ৪ ভোটে এবং গোঘাটে ৪ হাজার ১৪৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী।
বলরামপুরের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, নির্বাচন ও গণনা সংক্রান্ত নথি নষ্ট করা যাবে না। সব সংরক্ষণ করতে হবে।
বলরামপুরের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো গতকাল বলেছেন, মামলা গ্রহণ হয়েছে, রিটার্নিং অফিসারকে নথি নষ্ট না করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উচ্চ আদালতের প্রতি আশাবাদী, ন্যায় বিচার হবে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা তথা ওই আসনের বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতো বলেছেন,  আমার কাছে কোনও নোটিস আসেনি। তিনি বলেছেন, ওদের আদালতে যাওয়া থেকেপ্রমাণ হয় তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না। আমাদের আদালতের প্রতি ভরসা আছে।
১৫ জুলাই ফের এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
নন্দীগ্রাম আসনে পুনর্গণনার দাবিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আদালতে দ্বারস্থ হওয়া সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তিনি যেতেই পারেন। আমরাও কিছু দাবি নিয়ে আদালতে যাচ্ছি। আমাদের কাউন্টিং এজেন্টদেরও কয়েক জায়গায় জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বিচার চেয়ে আদালতে যেতে পারেন। প্রত্যেকেরই সেই অধিকার আছে। কিন্তু এটা সত্য যে, তিনি হেরে গিয়েছেন। তিনি অন্য আসনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছেন।