ঝিলম করঞ্জাই,কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকমহলের একাংশ। কালোবাজারির আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, পয়লা মার্চ থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং কোমর্বিডিটি থাকলে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন মিলবে। তবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, ‘‘সরকারি কেন্দ্রে সবাই বিনামূল্যে পাবেন। প্রাইভেটে নিতে গেলে টাকা দিতে হবে। ২-৩ দিনের মধ্যেই দাম ঘোষণা করা হবে৷’’


১ মার্চ থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে মিলবে করোনা ভ্যাকসিন ৷ বেসরকারি হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন নিতে গেলে দিতে হবে টাকা। বুধবার মোদি সরকারের এই ঘোষণার পরই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। কেউ কেউ আবার ভ্যাকসিন নিয়ে কালিবাজারির আশঙ্কাও করছেন। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীর মতে, ‘‘বেসরকারি ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন আসুক, কিন্তু নিয়ন্ত্রক থাকুক, কালোবাজারির আশঙ্কা থাকছেই ৷’’


কেন্দ্রীয় বাজেটে ভ্যাকসিন খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের দাম পড়তে পারে ১০০০ টাকা। এই হিসেবে ১৩০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে গেলে সরকারের খরচ হবে, ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা বাজেট বরাদ্দের প্রায় চার গুণ।


এখন প্রশ্ন হল,  বেসরকারি হাসপাতালিতে করোনার ভ্যাকসিনের দাম কত হবে?  কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ২-৩ দিনের মধ্যেই এবিষয়ে জানানো হবে। সংবাদসংস্থা এএনআই  সূত্রে খবর, এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি ভ্যাকসিনের সেই দামই নেবে, যা শুধুমাত্র পরিষেবার জন্য খরচ হবে।