কলকাতা: যাঁদের হাতে শিশু-সুরক্ষার দায়িত্ব, তাঁদের বিরুদ্ধে পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ! শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন, দার্জিলিঙের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ। আর এবার তাঁর স্ত্রী, জলপাইগুড়ির শিশুসুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হল।
সিআইডি সূত্রে দাবি, চন্দনা চক্রবর্তীকে শিশু পাচারে মদত দিতেন সাস্মিতা। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক রচনা ভগত জানিয়েছেন, শোকজের সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় সাস্মিতা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রবিবারও প্রায় ৩ ঘণ্টা সাস্মিতা ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে খবর, চন্দনার হোম থেকে বিক্রি করে দেওয়া ১৭টি শিশুর আসল বাবা-মার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কাদের কাছে ওই শিশুদের বিক্রি করা হয়েছে, তারও তালিকা তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে চন্দনা চক্রবর্তীর কলকাতার ঠিকানারও হদিশ মিলেছে। তেঘরিয়া মেন রোড এলাকার এই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন চন্দনা। বাড়ির মালিক দীপঙ্কর ঢালি বলেন, চন্দনার অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিচিতরা আসত। নিজেকে স্কুল শিক্ষিকা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন চন্দনা। পরে অবশ্য দত্তক সংক্রান্ত একটি সংস্থার সঙ্গেও তিনি জড়িত বলে জানা যায়। গাড়ি ভাড়া নিয়ে বিকাশ ভবন সহ একাধিক সরকারি দফতরে চন্দনার যাতায়াত ছিল।
ইতিমধ্যে চন্দনা ও তাঁর একাধিক সংস্থার ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, বিদেশ থেকে সেখানে একাধিকবার টাকা ঢুকেছে। অঙ্কটা ৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।