হাওড়া: শুক্রবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে ফের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, সেবা বিক্রি করা যায় না।
কোথাও আকাশছোঁয়া বিল, কোথাও চিকিৎসায় গাফিলতি, কোথায় বিল না মেটানোয় দেহ আটকে রাখা। বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এই পরিস্থিতি নয়া আইন এনে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন গড়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, তারপরও অভিযোগের বিরাম নেই। এনিয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গরিব রোগীদের সাহায্য করতে হবে। গরিব মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। মানুষকে হেনস্থা করলে হবে না।
এদিন হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম মিলিয়ে মোট ১৭৪টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে। জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে তাঁর যে কড়া নজর রয়েছে, তা বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, অভিযোগ উঠলে রোগীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করুন। পাবলিক কমপ্লেন করলে, নিজেরাই সলিউশন করুন। না হলে আমরা ইন্টারফেয়ার করব।
এদিনের বৈঠকে অভিযোগ নথিভুক্তের জন্য, জেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে গ্রিভান্স সেল গঠনের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য সচিব। পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালগুলিতে যেমন -- ডেলভারির রেকর্ড রাখা হয়, সেরকম বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতেও ডেলভারির রেকর্ড এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের নিয়ম-বিধির বিষয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে জানাতে, হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।