দার্জিলিং:শিলিগুড়ি পাহাড়ের মুখে হাসি ফোটাতে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় দ্বিতীয় দফার বৈঠক। রাজ্য সরকার এবং মোর্চা, উভয়েরই বক্তব্য বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। প্রত্যেকেই শান্তি ফেরাতে একমত। যদিও, মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে পাহাড়ে বন্‍ধ তোলা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিনক্ষণ নিয়েও হয়নি কোনও আলোচনা। নেতাদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার এবং জেলবন্দীদের মুক্তির মোর্চার দাবি নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মোর্চার কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার।যেমন, পাহাড়ে পুলিশের গুলি চালনা ও নাশকতামূলক ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে।আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাহাড়ের সরকারি কর্মীরা কাজে যোগ দিলে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেবে সরকার।তবে, মুখ্যমন্ত্রীর শর্ত একটাই পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে হবে। ১৬ অক্টোবর পাহাড় নিয়ে পরবর্তী বৈঠকের দিন স্থির হয়েছে। তবে, রাজ্য সরকার যে গোর্খাল্যান্ডের দাবি মানছে না তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছেন, পাহাড় পশ্চিমবঙ্গের ভিতরেই থাকবে। রাজ্যের বাইরে নয়। পৃথক কোনও ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না তা দেখা যাবে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পাশাপাশি জিএনএলএফ,হরকাবাহাদুরের জন আন্দোলন পার্টি এদিনের বৈঠকে অংশ নেয়। আগের বৈঠকে না থাকলেও, এদিনের বৈঠকে অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগও অংশ নিয়েছে যাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন অনেকে। যদিও, ইতিবাচক বৈঠকের এই আবহে ফের একবার বেসুরে গেয়েছেন বিমল গুরুং। বিবৃতি জারি করে তিনি দাবি করেছেন,আমি নই, বিনয় তামাংই বন্‍ধ ডেকেছিলেন। এনিয়ে মানুষের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকলে, তবেই বন্‍ধ প্রত্যাহারের ঘোষণা। রাজনৈতিক স্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চাই। আমি বন্‍ধ তোলার পক্ষে নই। শান্তিপূর্ণ আবহে পরপর দু’টি বৈঠক। আশায় বুক বাধছে পাহাড় পাহাড়। কিন্তু, বাধা এখনও সেই গুরুং। এখন অপেক্ষা ১৬ অক্টোবরের।