কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের পর কড়া পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দফতর। টিকাকরণ কেন্দ্র করতে গেলে নথিভুক্ত করতে হবে স্বাস্থ্য দফতরে। নথিভুক্তকরণের পর নিতে হবে সিভিসি নম্বর। নম্বর না থাকলে টিকাকরণ কেন্দ্রের রেজিস্ট্রেশন হবে না বলে সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রত্যেক টিকাকরণ কেন্দ্রের বাইরে লিখে রাখতে হবে সিভিসি নম্বর। টিকা নিতে গেলে কোইউন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


কসবা ও আমহার্স্ট সিটি কলেজের দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ক্যাম্পে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে বিপাকে ২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর তাই কসবাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত সরকারের। কসবাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি এড়াতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি হয়েছে। দ্রুত তা প্রকাশ করা হবে। এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্তে স্বাস্থ্য বিষয়ক ৩টি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন ক্যাম্পে ভুয়ো ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গ্রাহকদের শরীরে কী বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।


উল্লেখ্য, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের পর্দাফাঁসের পর তীব্র সংশয়ে ভুগছেন গ্রাহকরা। তোলপাড় পড়ে গিয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। কিন্তু, ভ্যাকসিনের নামে কী দেওয়া হয়েছিল তাঁদের? বাগড়ি মার্কেট থেকে কী কিনেছিলেন দেবাঞ্জন? এই সমস্ত বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে সরকার গঠিত একটি কমিটি। কমিটিতে আছেন রাজ্যের যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা তনিমা মণ্ডল এবং সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা কাজল মণ্ডল। এর পাশাপাশি ৬ চিকিৎসককে নিয়ে আরও একটি কমিটি গড়া হয়েছে। ভুয়ো টিকা নেওয়ার পর গ্রাহকদের শারীরিক অবস্থার বিবরণ-সহ স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। এদিনই কসবা-সহ ৩ স্বাস্থ্য শিবিরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে কমিটির সদস্যরা।


একইসঙ্গে  আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। কমিটিতে আছেন, চিকিত্সক শান্তনু ত্রিপাঠী, সৌমিত্র ঘোষ, জ্যোতির্ময় পাল এবং গোপালকৃষ্ণ ঢালি। প্রথম দুই কমিটির দেওয়া রিপোর্ট মূল্যায়ন করে, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ৪ সদস্যের এই কমিটি।