মুর্শিদাবাদ:  কান্দির কাউন্সিলরের অপহরণকাণ্ড সংক্রান্ত মামলায় যেদিন হাইকোর্ট ক্ষোভপ্রকাশ করল, সেদিনই মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে! অবরোধে সামিল হলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি!
আগামী ৩০ অগাস্ট খড়গ্রামের সাদল পঞ্চায়েতের প্রধান পদের জন্য নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস সদস্য টুম্পা মার্জিতকে সোমবার দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। সাদল পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৯। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৬টি, বামেদের ২ এবং তৃণমূলের একটি। কংগ্রেসের ৮ এবং বামেদের ২ সদস্য দলবদল করায়, বোর্ড দখল করে নেয় তৃণমূল।
তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত প্রধান পদে বসেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মাধব মার্জিত। কিন্তু গত ৫ জুলাই তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের দাবি, তাদের দলীয় সদস্য টুম্পা যেহেতু, তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের একমাত্র প্রতিনিধি, তাই তিনিই প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার, সে কারণেই তাঁকে অপহরণ করেছে তৃণমূল।
যদিও এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই অধীর চৌধুরীর জেলায় জোড়া ফুল ফুটছে। বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরিয়ে মুর্শিদাবাদে তিন মাসে তিনটি পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। এমনকি জেলা পরিষদ দখল থেকেও তারা মাত্র ৬টি আসন দূরে!
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত স্তরে দলত্যাগ-বিরোধী আইন যথেষ্ট মজবুত না হওয়ারই সুবিধা নিচ্ছে শাসক শিবির। তাই, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় কোনও জনপ্রতিনিধি দল বদল করলেও, তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। পদত্যাগের যে দাবি উঠছে, তা নেহাতই নৈতিকতার নিরিখে!
যদিও, তৃণমূলের দাবি, তারা অনৈতিক কিছু করছে না। অনেকে বলছেন, নিজেদের তৈরি করা আইনের গেরোতেই এখন বিপাকে বামেরা! দোসর জোট-সঙ্গী কংগ্রেস!