শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : করোনার ধাক্কা কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। আবার কঠিন সময় শিখিয়েছে নতুন করে বাঁচতে। তেমনই এক অনন্য ছবি ধরা পড়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়। দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের সংস্থানও একসময় কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছিল মারণ ভাইরাসের জের, কিন্তু অন্ধকারের সেই সময় কাটিয়ে উঠে বাকিদেরও আশার আলোর খোঁজ দিয়েছেন মাথাভাঙার বিশেষভাবে সক্ষম মহিলারা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ব্যাগ বানানোর প্রশিক্ষণ পেয়ে আপাতত দোকান খুলে সুদিনের খোঁজ করে নিয়েছেন তারা। মাথাভাঙ্গা ১ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে নিয়েছেন তারা। প্রথমে মশারি ও নাইলনের ব্যাগ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের, ১৫ দিনের প্রশিক্ষণের পর তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন বিশেষভাবে সক্ষম মহিলা আপাতত বাড়িতেই নিজেদের দোকান খুলেছেন, বিক্রি-বাটাও ভালই হচ্ছে তাদের। করোনা-লকডাউনের জেরে কাজ হারানো, আর্থিক অনিশ্চয়তার নির্দশন যখন চারিদিকে, তখন প্রান্তিক মানুষদের এভাবে নতুন লড়াই সত্যিই আশার আলো দেখাচ্ছে।


বর্তমানে নাইলনের মশারি ও ব্যাগের ভালই চাহিদা রয়েছে। তাই ভাল বিক্রি হচ্ছে। সংসারে বাড়তি আয়ে খুশি হোসেনারা বিবি,আয়েশা বিবিরাও। যদিও এখনও তাদের নিজেদের অর্থ দিয়েই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে, সরকারি আর্থিক সাহায্য পেলে আরো একটু স্বাচ্ছন্দ আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা। প্রথমে মাথাভাঙ্গা ১ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ব্লকের অধীনে থাকা ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ জন করে বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের বেছে নেওয়া হয় ব্যাগ প্রশিক্ষণের জন্য। আপাতত বেশিরভাগই বাড়িতে ব্যাগ বানাচ্ছেন। বিক্রিও করছেন। বুধবার স্থানীয় বিডিও এই রকমই কয়েকজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন তাদের কাজের অগ্রগতি। কাজ দেখে স্বাভাবিক ভবেই খুশি তিনি। মাথাভাঙা ১ ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা বলেছেন “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের সাবলম্বী করা। তাই আমরা আমাদের ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ জন করে মহিলাদের বেছে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। এখন তাদের মধ্যে অনেকেই ভাল কাজ করছে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে এরা ব্যবসা বাড়াতে পারেন।”